Tuesday 10 May 2011

ফটোশপের দৃষ্টিনন্দন ১০টি ব্রাশ !!!

ফটোশপ ব্যবহারে অভ্যস্ত এমন লোক নেই যারা ব্রাশ সম্পর্কে জানেন না। একটি সাধারণ ডিজাইনকে অতি সাধারণ রূপ দিতে ব্রাশ ব্যবহারের তুলনা হয় না। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন তৈরীতে অনেকেরই পছন্দ ব্রাশ। ফটোশপে একাধিক ডিফল্ট ব্রাশ থাকলেও বর্তমানে ডিজাইনারদের বদৌলতে ওয়েবে প্রচুর ব্রাশ বিনামূল্য ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যায়। ওয়েব ঘাটাঘাটি করে পাওয়া ১০টি ব্রাশ আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

Burning Soul

Floral Abstract

Dimension Brushes

Twirls

Paint Borders

Splatter and Stains

Melancholy Brushes

Suddenly Spring

Summer Brushes

Old Ephemera Brushes
যেভাবে ব্রাশ ইন্সটল করবেন-
ব্রাশ ফাইল সনাক্ত করার সহজ উপায় হল এক্সটেনশন। ব্রাশ ফাইলের মূল এক্সটেনশন হল .abr।
প্রথমত, ব্রাশটি ডাউনলোড করে C:\Program Files\Adobe\Photoshop CS অথবা কোন ভার্সন\Presets\Brushes এই লোকেশনে পেস্ট করে দিন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফটোশপ ইন্সটল করা থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ফটোশপ ওপেন করুন। তারপর ব্রাশ টুলটি সক্রিয় অবস্থায় রাখুন বা টুলটি খুঁজে না পেলে B চাপুন তাহলে টুলটি সক্রিয় অবস্থায় পাবেন।
তৃতীয়ত, ব্রাশ লোড করতে নিচের চিত্রটি অনুসরণ করুন।
চিত্রে চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করে Load Brushes এ ক্লিক করুন। তারপর যেখানে ফটোশপ ইন্সটল করা আছে সেখান থেকে ব্রাশ ফোল্ডারের কাঙ্খিত ব্রাশটি সিলেক্ট করে লোড দিন। তাহলেই ব্রাশ গুলো ব্রাশের তালিকাভুক্ত হবে এবং সেখান ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে।

মন্তব্য করতে ভুলবেন না। সাড়া পেলে আরো ব্রাশ শেয়ার করার চেষ্টা করব।

ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড দিন নিজের বানানো সফটওয়্যার দিয়ে !!!

আজকে মজার একটি জিনিস শিখাবো, খুব ছোট কিছু কোডিং দিয়ে খুব ছোট একটা সফটওয়্যার বানাব আজকে আমরা। ঠিক সফটওয়্যার বলা চলে না তবে বললেও প্রবলেম নাই। ত চলেন দেখি এটার কাজ কি। এখানে আমরা দেখবো কিভাবে ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা যাবে, সেটাও আবার নিজের বানানো সফট দিয়ে। এটা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন আপনার প্রাইভেট ফোল্ডারে। খুব ই সহজ। চলেন তাহলে কাজ শুরু করি।
১। নোট পেড ওপেন করে নিচের কোড গুলো পেস্ট করুন, এবং সেভ করুন ibd27.txt নাম দিয়ে।
:CONFIRM
echo Are you sure you want to lock the folder(Y/N)
set/p "cho=>"
if %cho%==Y goto LOCK
if %cho%==y goto LOCK
if %cho%==n goto END
if %cho%==N goto END
echo Invalid choice.
goto CONFIRM
:LOCK
ren Private "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
attrib +h +s "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
echo Folder locked
goto End
:UNLOCK
echo Enter password to unlock folder
set/p "pass=>"
if NOT %pass%== ahammedkhalid.com goto FAIL
attrib -h -s "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
ren "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}" Private
echo Folder Unlocked successfully
goto End
:FAIL
echo Invalid password
goto end
:MDLOCKER
md Private
echo Private created successfully
goto End
:End
২। ibd27.txt ফাইল টা ওপেন করুন এবং খুজে দেখুন এক জায়গায় লিখা আছে  probarta.com  (২৩ নং লাইনে দেখুন) এখন ahammedkhalid.com টাকে মুছে দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড তি লিখুন যেই পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ফোল্ডার টি লক করতে চান। নিচের এক্সামপ্ল কোডিং দেখে নিন কথায় কাজটা করতে হবে।
if NOT %pass%==ahammedkhalid.com goto FAIL
৩। এবার নোটপ্যাডের ibd27.txt ফাইল টি save as দিন এবং সেভ করুন ibd27.bat নামে (save as type থেকে অবশ্যই All Files দিয়ে নিবেন)
৪। এখন ibd27.txt নামের ফাইলটি ডিলিট করে দিন এবং ibd27.bat নামের ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন।
৫। এখন দেখুন যেখানে ibd27.bat ফাইলটি বানিয়েছিলেন সেখানে নতুন একটি ফোল্ডার তৈরি হয়ে গেছে যার নাম “private”
৬। কাজ হয়ে গেছে বস। আপনি যা কিছু লুকাতে চান সেই জিনিস গুলা “private” ফোল্ডারের ফিতরে রাখুন। মানে “private” ফোল্ডার টাই আপনার গুপ্তধন এটাই আমরা লক করব। মানে আপনি যা কিছু লিকাতে চান এই ফোল্ডারের ভিতরে কপি করে রেখে দিন। কারন আমরা এইটাকে পাসওয়ার্ড দিব এখন।
৭। এখন আবার ibd27.bat নামের ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন দেখবেন সে আপনাকে জিজ্ঞাস করছে যে আপনি “private” নামের ফোল্ডারটি লক করতে চান কিনা । যদি চান লক করতে তাহলে y প্রেস করে এন্টার দিন।
৮। হিহি, কাম হইয়া গেছেগা, এবার দেহেন বস “private” নামের ফোল্ডারটি আর ওপেন ই হবে না।
৯। যদি ওপেন করতে চান “private” ফোল্ডারটি তাহলে আবার ibd27.bat নামের ফাইলে ডাবল ক্লিক করুন যে আপনাকে পাসওয়ার্ড জিজ্ঞাস করবে পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন বাস ফোল্ডার আবার ওপেন হয়ে যাবে। (ahammedkhalid.com)এর পরিবর্তে যেই পাসওয়ার্ড দিছিলেন সেটাই আপনার পাসওয়ার্ড )
১০। এই কাজটি আপনি পেন ড্রাইভেও করতে পারবেন। পেন ড্রাইভের private নামের ফোল্ডার বানান এবং সব ফাইল রাখুন সেটার ভিতরে তারপর উপরের নিয়মে লক করে নিন।
১১। লক করার পরে লকার ফাইলটি ডিলিট করে দিন তাহলে অন্য কেউ চাইলেও আর ফাইলটি এডিট করতে পারবে না। তবে আনলক করতে সেই পাসওয়ার্ড ই ব্যাবহার করতে হবে যেটি দিয়ে লক করেছেন।
১২। এটিকে খুব সাধারন কিছু মনে করে ভুল বুঝবেন না। এটা অনেক শক্তিশালী কৌশল।
ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন আশা করি.....

(C+P) P.B

ইন্টারনেট দুনিয়ার কিছু ট্রেইলব্লেজারস''দের গল্প...

"মি. ওয়াটসন,এখানে আসুন, আমি আপনাকে দেখতে চাই"। এ কথাগুলো কেবল টেলিফোনে বলা সধারন কিছু কথা ছিল না, এগুলো ছিল ইতিহাস এর একটা অংশ, কারণ এটাই ছিল টেলিফোন ব্যবহার করে বলা বিশ্বের প্রথম মানব বাণী! ভেবে দেখুন ১৮৭৬ সালের ১০ মার্চের সেই মুহূর্তটির কথা, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল নামে এক যুবক যখন টেলিফোনে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করেছিলেন সবর্ প্রথম। পৃথিবীতে আছে কোটি কোটি মানুষ, হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান, সংগঠন। সবাইকে হটিয়ে কোনো স্থানে সবার আগে পৌঁছে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের গর্বের অনুভূতি কাজ করে। যারা এই কাজ করে তাদেরকে ইংরেজিতে বলে পাইওনিয়ার অথবা ট্রেইলব্লেজারস । ইন্টারনেট তথা তথ্যপ্রযুক্তির কথা চিন্তা করুন। আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের ভালবাসার নাম ইন্টারনেট। দুনিয়াদারী ভুলে নেটেই পড়ে থাকেন এমন মানুষের সংখ্যাও খুব কম নয়। কিন্তু ইন্টারনেট আজকের এই জায়গায় এক দিনে পৌঁছায়নি। সময় লেগেছে অনেক। তার সঙ্গে লেগেছে বহু মানুষের বহু দিনের পরিশ্রম। আর এভাবেই আজ কয়েক দশকের মাথায় ইন্টারনেট এবং তার অসংখ্য পরিষেবা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জীবনের এবং হৃদয়ের খুব কাছের। আর এজন্য আমরা সবাই কৃতজ্ঞ ইন্টারনেট দুনিয়ার সব ট্রেইলব্লেজারস আর পাইওনিয়ারদের প্রতি। একটা কিছু আবিষ্কার করা হয়ে গেলে সেটি ব্যবহার করা বা সেটির আদ্যোপান্ত জানা খুব সহজ। কিন্তু প্রথম যার বা যাদের মাধমে এ ব্যাপারটা ঘটল তাদের জন্য এসব এতটা সহজ ছিল না। এ কারণেই প্রথম ওয়েব সাইটটি যিনি ডিজাইন করেছিলেন অথবা প্রথম ইমেইলটি যিনি পাঠিয়েছিলেন তিনি সব সময়ই আমাদের কাছে শ্রদ্ধা ও সমীহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবেন। এ জায়গা থেকে তাঁকে বা তাঁদেরকে কেউ নড়াতে পারবে না। আজ আমি ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর ভুবন থেকে এরকমই কিছু ট্রেইলব্লেজারস দের কথা জানাব আপনাদের।
সর্বপ্রথম ওয়েব সাইট

বিশ্বের সর্বপ্রথম ওয়েব সাইটটির ঠিকানা ছিল info.cern.ch এবং সুইজারল্যান্ডের পার্টিকেল ফিজিক্স রিসার্চ সেন্টার সার্ন (CERN)-এ রক্ষিত একটি NeXT কম্পিউটারে ছিল এর অবস্থান।বিশ্বের সর্বপ্রথম ওয়েব পেজটির ঠিকানা:http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html। এতে রক্ষিত ছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রজেক্ট সম্পর্কিত নানা তথ্য। ঐ পেজটা এখন আর নেই, তবে এ পেজটির পরবর্তীকালের একটি কপি (১৯৯২ সালের) এখন রক্ষিত আছে W3C সংগঠনের ওয়েব সাইটে। ঠিকানা: www.w3.org/History/19921103-hypertext/hypertext/WWW/TheProject.html ।

সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিন

এমনকি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্মেরও আগে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনের প্রচলন ছিল। তবে এদের কাজ ছিল খুবই সীমিত, এবং কেবলমাত্র ওয়েব পেজের টাইটেলই সার্চ করতে পারত তারা। আজ আমরা যেভাবে ওয়েব সার্চ করি সেরকম ফুল টেক্সট ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনের সর্বপ্রথম প্রচলনকারীর শিরোপা যাবে ‘ওয়েব ক্রলার’ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে। আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে, সেই ১৯৯৪ সালে জন্ম নিয়েছিল ওয়েব ক্রলার।
সবর্ প্রথম ইমেইল

ইন্টারনেটের ভুবনে ১৯৭১ একটি মনে রাখার মত বছর, কারণ এ বছরই রে টমলিনসন নামে এক প্রযুক্তি পাগল মানুষ পাঠিয়েছিলেন ইতিহাসের প্রথম ইমেইলটি।কেবল বিশ্বের সর্বপ্রথম ইমেইল প্রেরক হিসেবেই নয়, ইমেইল ঠিকানায় ব্যবহারকারীর নামকে কম্পিউটারের নাম থেকে আলাদা করার জন্য বহুল পরিচিত @ চিহ্নটি প্রবর্তনের কৃতিত্ব্ও টমলিনসনের। ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকেই কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বার্তা পাঠানোর বিভিন্ন পদ্ধতি চালু ছিল বটে, তবে এগুলো ছিল একই ধরনের মেইনফ্রেম মেশিনে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর একজন থেকে আরেকজনের কাছে পাঠানো বার্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।টমলিনসনের কৃতিত্ব হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইমেইলকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো এবং ইমেইলকে সেই রূপ দেয়া যে রূপে আজ আমরা এটিকে চিনি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, রে টমলিনসন যখন ইমেইল বার্তার জন্ম দেন তখনও ইন্টারনেটে জিনিসটারই জন্ম হয়নি, তবে জন্ম হয়েছিল এর পূর্বসুরীর, যার নাম ছিল চাইতে বেশি।

সর্বপ্রথম পডকাস্ট
সময়টা ২০০০-এর অক্টোবর। ব্লগিং- এর শুরুর দিকের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের একজন – ডেভিড ওয়াইনার আরএসএস ফিডের (RSS feeds) ভেতর অডিও কনটেন্টের রেফারেন্স অন্তর্ভূক্ত করার ফলে অডিও ব্লগের সিন্ডিকেশন (syndication)-এর পথ প্রশস্ত হয়। ২০০১-এর জানুয়ারি মাসে ওয়াইনার তাঁর স্ক্রিপ্টিং নিউজ ব্লগে একটি গান সংযোজনের মাধ্যমে এই নতুন আরএসএস ফাংশানালিটি প্রদর্শন করলেন। আর সাউন্ড ফাইল ডাউনলোড করে আইপড-এ শোনার যে ব্যাপার সেটি শুরু হয় ২০০৩-এর দিকে। পোর্টেবল ডিভাইসে অডিও শোনা তথা পডকাস্টিং কথাটি সর্বপ্রথম শোনা যায় ২০০৪ সালে এসে।

সর্বপ্রথম ব্লগ-জাস্টিন’স লিংক ফ্রম দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড

জাস্টিন হলস (Justin Halls) নামে ব্যক্তি সর্বপ্রথম ওয়েবভিত্তিক ডায়েরি লিখতে শুরু করে। সালটা ছিল ১৯৯৪, আর তার সে ওয়েব ডায়েরিরনাম ছিল: জাস্টিন’স লিংক ফ্রম দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড (Justin’s Links from the Underground)।ওয়েব ঠিকানা: www.links.net এতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের এক ধরনের গাইডেড ট্যুরের ব্যবস্থা ছিল, যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে মূলত হলস-এর ব্যক্তিগত কথাবার্তাই স্থান পেতে থাকে।নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিন এ কারণে জাস্টিন হলস-কেই পারসোনাল ব্লগিং- এর প্রতিষ্ঠাতা জনক-এর স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। অবশ্য হলস যখন তার বগিং কর্মকাণ্ড শুরু করে তখনও ব্লগ কথাটির জন্ম হয়নি; হয়েছে আরো অনেক পরে। ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জনপ্রিয়তা পায় ‘ওয়েব লগ’ কথাটি। আর তার পথ ধরে ১৯৯৯ সাল থেকে ব্যবহৃত হতে থাকে ব্লগ শব্দটি।

সর্বপ্রথম ই-কমার্স সাইট স্টিং-এর ‘টেন সামনারস টেলস’ সিডি-র কাভার

যদিও ই কমার্সের ভুবনে বিশ্বজোড়া নাম কেনার ক্ষেত্রে ই-বে এবং আমাজন-এর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, এরা কিন্তু বিশ্বের সর্বপ্রথম ই-কমার্স সাইট ছিল না।নেটমার্কেট নামে অনলাইনে খুচরা পণ্য বিক্রেতা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই বরাদ্দ আছে সে সম্মান। তারাই বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম নিরাপদে খুচরা বিক্রয় ও অর্থ লেনদেনের রেকর্ড গড়ে। ১৯৯৪ সালের ১১ আগস্ট এ সাইটটি স্টিং-এর ‘টেন সামনারস টেলস’সিডি-র একটি কপি বিক্রি করে ১২ ডলার ৪৮ সেন্টে। হ্যাঁ, পাঠানোর খরচ বা শিপিং কস্টসহ। অবশ্য কেউ কেউ বলেন ‘ইন্টারনেট শপিং নেটওয়ার্ক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানই সর্বপ্রথম অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের কাজটি সম্পন্ন করে। ইন্টারনেট শপিং নেটওয়ার্ক দাবি করে, তারা নেটমার্কেটের ঝাড়া এক মাস আগেই অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করেছিল।

সর্বপ্রথম ডোমেইন নাম

ইন্টারনেটে বিশ্বের সর্বপ্রথম যে ডোমেইন নামটি রেজিস্ট্রি করা হয় তার নাম সিম্বলিক্স.কম (SYMBOLICS.COM)। এটি রেজিস্ট্রি করা হয় ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ তারিখে।এ ডোমেইন নামটির মালিক ছিল ‘সিম্বলিক্স’ নামে একটি কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এটি আজ আর নেই, তবে এখনও টিকে আছে সিম্বলিক্স.কম নামে সেই ওয়েব সাইটটি।

সর্বপ্রথম অনলাইন ব্যাংক
সর্বপ্রথম যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে তাদের সব গ্রাহক ও সেবাগ্রহীতার জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান শুরু করেছিল সেটির নাম ‘স্ট্যানফোর্ড ফেডারেল ক্রেডিট ইউনিয়ন’।যুক্তরাষ্ট্রের এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে এ সেবা প্রদান শুরু করেছিল।

সর্বপ্রথম স্প্যাম ইমেইল

স্প্যাম ছাড়া আজকের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা ইন্টারনেটের ভুবনের কথা কল্পনাও করা যায় না। অবাঞ্চিত, অনাকাক্ষিত এসব মেইল অপ্রয়োজনে ভর্তি করে আমাদের ইনবক্স, ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি করে ইন্টারনেটের ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে। যাই হোক, বিশ্বের সর্বপ্রথম স্প্যাম মেসেজ পাঠানো হয় একই সঙ্গে আরপানেটের ৩৯৩ জন ব্যবহারকারীর কাছে। তারিখটি ছিল ১৯৭৮ সালের ৩ মে। স্প্যাম মেইলটি পাটিয়েছিলেন গ্যারি থুয়ের্ক (Gary Thuerk) নামে এক ব্যক্তি। এ মেইলে ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন (ডিইসি) কোম্পানির তৈরি নতুন মডেলে একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্যাপক গুণগান করা হয়। মোদ্দা কথা হচ্ছে, ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করুন বা নাই করুন, এই গ্যারি থুয়ের্কই হচ্ছেন ইমেইল স্প্যামের জনক। এ কীর্তি থুয়ের্ককে তুলে দিয়েছে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর পাতাতেও! অবশ্য সেই ১৯৭৮ সালে স্প্যাম কথাটিই জন্ম নেয়নি। এটির জন্ম আরো অনেক অনেক পর।

ইউটিউব-এর সর্বপ্রম ভিডিও

ইউটিউব-এ সর্বপ্রথম ভিডিও আপলোড করা হয় ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল। আপলোড করেন ইউটিউব-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত জাভেদ করিম।এ ভিডিওটির টাইটেল ছিল: মি অ্যাট দ্য জু। এতে সান ডিয়েগো চিড়িয়াখানায় জাভেদ করিমের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ছিল। এ ভিডিওটা এ পর্যন্ত ১৫ লক্ষবারের বেশি দেখেছে ইউটিউব ভক্তরা। এখনও ইউটিউবে আছে এ ভিডিওটি।


উইকিপেডিয়ার সর্বপ্রথম সম্পাদনা

উইকিপেডিয়ায় সর্বপ্রথম সম্পাদনার কাজটি করেন উইকিপেডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস স্বয়ং। এটা ছিল একটা টেস্ট এডিট: “Hello,World!” এখন আর এটি পাওয়া যাবে না। উইকিপেডিয়ায় সবচেয়ে পুরনো যে এডিটটি পাঠক এখনও দেখতে পারেন সেটি ২০০১-এর জানুয়ারি মাসে করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তালিকায় কিছু উপাত্ত যোগ করা হয় এ এডিটের মাধ্যমে।

টুইটারে সর্বপ্রথম মেসেজ

টুইটারের সর্বপ্রম টুইট ছিল টুইটার প্রতিষ্ঠাতাত জ্যাক ডরসি-র করা একটি টুইট।তারিখ ছিল ২০০৬-এর ২১ মার্চ। টুইটটি ছিল এরকম: জাস্ট সেটিং আপ মাই টুইটার( just setting up my twttr)।এখানে যে ইংরেজি বানানে ‘টুইটার’লেখা হয়েছে সেটি আমার লেখার ত্রুটি নয়, জ্যাক ডরসি শুরুতে টুইটার এভাবেই লিখতেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই প্রচলন করেন টুইটারের বর্তমান বানান (Twitter)।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাসম্বলিত সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন

ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধাসহ সর্বপ্রথম যে মোবাইল ফোনটির কথা জানা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে নকিয়ার ৯০০০ কমিউনিকেটর (Nokia 9000 Communicator)। সেই ১৯৯৬ সালে ফিনল্যান্ডে লঞ্চ করা হয়েছিল এ ফোন। তবে সেবাদাতা সংস্থা ইন্টারনেট সেবার জন্য যে দাম হেঁকেছিল সেটাই সাধারণ ব্যবহারকারীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছিল এ ফোনকে। ১৯৯৯ সালে জাপানের এনটিটি ডকোমো আই-মোড নামে একটি ফোন লঞ্চ করে জাপানে।মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা পাইওনিয়ার বলে মনে করা হয় এ ফোনটিকেই।

ধন্যবাদ সবাইকে...

Sunday 8 May 2011

সহজেই নিজের একটি টিভি চ্যানেল তৈরি করুন ফ্রী দেশী সফটওয়্যার দিয়ে!

সময়ের সাথে এগিয়ে চলছি আমরা, এগিয়ে চলছে সভ্যতা। এরই ধারবাহিকতায় টেরিষ্ট্রিয়াল টিভির (বিটিভি) যুগ পেরিয়ে আমরা চলে এসেছি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের যুগে। আর এই স্যাটেলাইট টিভিকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের দেশে জন্ম নিয়েছে ‘ক্যাবল টিভি অপারেটর’ নামে একধরণের নতুন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের, সহজ ভাষায় যা আমাদের কাছে ‘ডিস কানেকশন’ বলে পরিচিত। কিন্তু এখানেই থেমে থামেনি এই প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথম দিকে ক্যাবল টিভি অপারেটদের স্থাপিত নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে সিডি বা ডিভিডি প্লেয়ারের মাধ্যমে ভিডিও চালিয়ে তার সেবা পৌছেঁ দেয়া হতো দর্শকদের টিভিতে। কিন্তু সেখানে ছিলনা কেন বিশেষায়িত ব্যবস্থা যার কারণে ক্যাবল টিভি অপারেটদের উক্ত ভিডিও চ্যানেল যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘লোকাল ভিডিও চ্যানেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তার উপর কোন বিশেষ নিয়ন্ত্রণও ছিলনা। পরবর্তিতে কম্পিউটার প্রযুক্তির্ অগ্রগামীতার সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শক ও অপারেটরদের চাহিদা।CABTV বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
দিনে দিনে এই ‘লোকাল ভিডিও চ্যানেল’ হয়ে ওঠে ক্যাবল টিভি অপারেটরদের ব্যবসা এবং একই সাথে দর্শকদের ভিন্ন মাত্রার বিনোদন, বিজ্ঞাপণ ও তথ্য সরবরাহের মাধ্যম। প্রয়োজন পড়ে বিশেষায়িত সফটওয়্যারের যার মাধ্যমে উক্ত বিনোদন, বিজ্ঞাপণ ও তথ্য সরবরাহের উপর অপারেটরদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বাজারে আসে স্থানীয় প্রোগ্রামারদের তৈরীকৃত কিছু সফটওয়্যার, এমনকি ভারতীয় প্রোগ্রামাররাও এর উপর পুরোদমে কাজ শুরু করে দেয়। এমনি একটি সময়ে ২০০১ সালে তৈরী হয় ক্যাবটিভি’র প্রথম ভার্সণ, যা ব্যবহার শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু ক্যাবল অপারেটর, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় ক্রল বিজ্ঞাপণ এবং ভিডিও বিজ্ঞাপণ প্রচারের মাধ্যমে লাভের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানগুলো, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে পায় বিজ্ঞাপণ প্রচারের অত্যন্ত সহজ মাধ্যম, সুলভে, হাতের নাগালে। ২০০৮ সালের পর এর দ্বিতীয় ভার্সণ নিয়ে কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে দেশে অনেকগুলো স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চলে আসে যাদের বিজ্ঞাপন ও প্রোগ্রাম প্রচারের ধরণ দেখে ক্যাবল অপারেটরদের নানামুখী চাহিদাও বাড়তে থাকে দিনকে দিন। ২০১০ সালে রিলিজ হয় ক্যাবটিভি’র নতুন ভার্সণ এবং ২০১১ সালে রিলিজ হয় ক্যাবটিভি’র তৃতীয় ভার্সণ।

ক্যাবটিভি ডাউনলোড:

বর্তমানে ক্যাবটিভির তিনটি ইনষ্টলেশন ভার্সণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এগুলো হচ্ছে ফুল ইনষ্টলেশন (২৫ মেগা), লাইট ইনষ্টলেশন (১০ মেগা), ইএক্সই (Exe) ভার্সণ (২ মেগা)। ফাইলগুলো সাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফুল ইনষ্টলেশনে কিছু বাড়তি টুলস এবং ফ্লাশ এনিমেশন পাওয়া যাবে যা লাইট ভার্সণে অনুপস্থিত। আর ইএক্সই ভার্সণ শুধুমাত্র প্রোগ্রামের ইএক্সই ফাইলটি (Cabtv2011.exe) রয়েছে। যাদের কম্পিউটারে এর ডেপেন্ডেন্সি ফাইলগুলো আগে থেকেই রয়েছে তারা ইএক্সই ভার্সণটি ডাউনলোড করতে পারেন। যাদের কম নেট স্পিড তারা লাইট ভার্সণ এবং স্পিডের কোড সমস্যা না থাকলে ফুল ভার্সণ ডাউনলোড করতে পারেন। ক্যাবটিভি ইনষ্টলেশন অন্যান্য সাধারণ সফটওয়্যারের ন্যায় কয়েকটি ক্লিকের ব্যাপার মাত্র। সাধারণত এটি C:\Program Files\CabTV2011 এই ফোল্ডারে ইনষ্টল হবে। এছাড়া ডেস্কটপেও একটি শর্টকাট আইকন পাওয়া যাবে।

কোথায় ব্যবহৃত হতে পারে ক্যাবটিভি:

ক্যাবটিভি মুলত: ক্যাবল অপারেটরদের নিজস্ব লোকাল নেটওয়ার্কে টিভি চ্যানেল এর অটোমেশনের জন্য তৈরী করা হয়েছে, এছাড়াও বড়মাপের কোন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, বন্দর অথবা হাল আমলের বড় ধরনের যাত্রীবাহী জাহাজের কেবিনের যাত্রীদের বিনোদনের জন্য ক্যাবটিভি ব্যবহার করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে শুধু মাত্র ভিডিও প্রদর্শনই নয় বরঞ্চ বিনোদনের এই মাধ্যমটিকে একটি ব্রান্ডেড অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং সেই সাথে লাভবান হওয়া এই সফটওয়্যারটির মুল লক্ষ।

কি আছে ক্যাবটিভি’র ২০১১ ভার্সণে:

  • ০১. এই ভার্সণে যোগ হয়েছে একটি রান টাইম কন্ট্রোলার যার মাধ্যমে অপারেটররা চলমান ভিডিওকে সর্টকাট অথবা গ্রাফিক্যাল উভয় মোডেই সামনে, পেছনে, পুর্ববর্তী, পরবর্তী, নির্দিষ্ট ভিডিও চালানো, প্লে, পজ, পজিশন স্লাইডিং, শো/হাইড, ভলিউম বাড়ানো/কমানো মানে একটি আদর্শ ভিডিও প্লেয়ারের যা যা ফাংশনালিটি থাকা প্রয়োজন তার সবকিছুই পাবেন।
  • ০২. সর্বাধিক সুবিধা সম্বলিত প্রোগ্রাম সিডিউল তৈরীর সুবিধা যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী যেকোন কন্টেন্ট যেকোন নির্দিষ্ট সময়ে চালানো সম্ভব। সিডিউল তৈরীর সময়ে দ্রুত ফাইল খুঁজে পাওয়ার (File Navigation) জন্য রয়েছে ১১ টি লোকেশন শর্টকাট তৈরীর সুবিধা।
  • ০৩. পুর্বের তৈরীকৃত সিডিউল নতুনভাবে ব্যবহার অথবা পুর্বের সিডিউল থেকে বাছাই করে কিছু ফাইল নতুন কোন সিডিউলে যোগ করার সুবিধা।
  • ০৪. সিডিউল এডিটর (Schedule Editor) সাপোর্ট করে একাধারে দুটি ভাষার যার একটি ডিফল্ট ইংরেজী এবং অন্যটি ব্যবহারকারী কর্তৃক সেট করা সম্ভব। এছাড়া রয়েছে পূর্ণমাত্রায় সর্টকাট ব্যবহারের সুযোগ।
  • ০৫. ব্যবহারকারী অন্যকোন মাধ্যমে সিডিউলকে স্থানান্তরের জন্য রয়েছে এক্সেল ফর্মেটে এক্সপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা।
  • ০৬. সিডিউল তৈরীকালীন ফুটেজের দুরত্ব (Duration) পাওয়া যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
  • ০৭. এতে রয়েছে বিশেষায়িত ভাবে ফুটেজ/ভিডিও/অডিওকে কাটার সুযোগ। যেমন এক ঘন্টাব্যাপী কোন ভিডিওর প্রতি দশ মিনিট অন্তর অন্তর অন্য কোন ভিডিও চালাতে হলে সাধারণভাবে উক্ত ফুটেজটিকে কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেটে নিতে হবে। কিন্তু এই ভার্সণে হার্ডডিস্কের মুল ফাইলকে কোন রকম পরিবর্তন না করেই ভিডিওটিকে ব্যবহারকারীর ইচ্ছেমত কেটে নেয়া সম্ভব যা এই সফটওয়্যারে ক্লিপ ট্রিমার (Clip Trimmer) নামে পরিচিত।
  • ০৮. পূর্ণ কন্ট্রোলে বর্তমান ও আগত ভিডিও অবস্থান দেখার পরিবর্তে ক্ষুদ্র একটি কন্ট্রোলে দর্শকদের না দেখিয়েই পরিপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। অনুরূপভাবে রয়েছে ক্ষুদ্র একটি স্লাইডার বার যা ভিডিওকে সহজেই পজিশনিং করার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
  • ০৯. সরাসরি সমপ্রচার/হার্ডওয়্যার ডিভাইস (সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে)/অন্য কোন ভিডিও প্লেয়ার/অন্য কোন চ্যানেলের উপর অপারেটরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এই ভার্সণে যা এক্সটার্নাল ব্রডকাষ্ট হিসেবে পরিচিত।
  • ১০. কোন কারণে দুর্ঘটনাবশত: (লোডশেডিং) সমপ্রচার বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় উক্ত পজিশন থেকে প্লেব্যাক শুরু করার রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সিস্টেম চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান হবার বিশেষ ব্যবস্থা (সেটিংসে)। যার সাহায্যে কারো কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই কম্পিউটার চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হওয়া অবস্থান থেকে সম্প্রচার শুরু হবে। যদি উক্ত বন্ধের কারণ কোন দুর্ঘটনা হয়। এছাড়াও ব্যবহারকারী চাইলে প্রতিবার চালুর সময়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্প্রচার শুরু করতে পারেন।
  • ১১. নির্দিষ্ট সময়ে সমপ্রচার এবং কম্পিউটার বন্ধ বা পাওয়ার ম্যানেজ করার জন্য রয়েছে বিশেষায়িত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষায়িত প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা।
  • ১২. রয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগত প্রোগ্রামের নাম ও সময় যে কোন ভাষায় দেখানোর ব্যবস্থা যা অনেকটা কোন ব্রান্ডেড টিভি চ্যানেলের অনুরূপ।
  • ১৩. রয়েছে ৬ টি আলাদা সেটে ফ্লাশ বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ। এমনকি কোন একক ফ্রেমের ফ্লাশ ফাইলও (ফ্লাশ ক্লক) সমপ্রচার করা সম্ভব এবং এজন্য রয়েছে ব্যবহারকারী কর্তৃক রান টাইম ডিফাইনের সুযোগ। বিজ্ঞাপণগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে পপআপ হিসেবেও।
  • ১৪. ফ্লাশের বিজ্ঞাপণগুলো ব্যবহারকারী কর্তৃক স্ক্রিণের যেকোন স্থানে যেকোন সাইজে যেকোন মোডে স্থাপন করা সম্ভব।
  • ১৫. যেকোন ভাষায় পরিবর্তনযোগ্য বিল্ট ইন ডিজিটাল ঘড়ি। এছাড়া এনালগ ফ্লাশ ঘড়ি ব্যবহারের ব্যবস্থাতো রয়েছেই যা হতে পারে কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিংয়ের বিজ্ঞাপণ। এই ঘড়িই ব্যবহৃত হতে পারে শুধুমাত্র ইমেজড লোগো, শুধুমাত্র ঘড়ি অথবা একইসাতে ঘড়ি এবং ইমেজড লোগো উভয় হিসেবেই।
  • ১৬. রয়েছে প্রয়োজনীয় সেটিংস নির্ধারণের সুব্যবস্থা, এমনকি ব্যবহারকারীর কোন প্রকার সেটিংস ছাড়াও এটি চলতে পারবে স্বাচ্ছ্যন্দে।
  • ১৭. পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষা দেয়া যাবে এই সফটওয়্যারে এছাড়াও এতে ব্যবহার করা হয়েছে হার্ডওয়্যার বেজড লাইসেন্সিং সিস্টেম যার দরুন এটি ক্র্যাক (Crack) বা চুরি হবার সম্ভাবনা নেই। তবে  কম্পিউটার চালু হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ক্যাবটিভি চালু হবার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসোয়ার্ড ডিজেবল করা থাকতে হবে।
  • ১৮. কে-লাইট কোডেকের মাধ্যমে এতে সাপোর্ট করবে যে কোন ভিডিও/অডিও ফর্মেট। ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেন তাদের নিজস্ব ইচ্ছেনুযায়ী অন্য যে কোন পছন্দের কোডেক।
  • ১৯. এই সফটওয়্যারটি সাপোর্ট করবে যে কোন উইন্ডোজ ভার্সণ এমনকি উইন্ডোজ ৭ পর্যন্ত।
  • ২০. সফটওয়্যারটিকে পোর্টেবল লোকেশন থেকেও ব্যবহার করা সম্ভব যার কারণে অপারেটিং সিস্টেমের পরিবর্তনের কারণেও এর কোন সেটিংস নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
HDD বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes

দ্রুত শুরু (Quick Start) করুন:

ক্যাবটিভি ২০১১ চালু করুন। এবারে মুল স্ক্রীণ থেকে উপরের বাম দিকের (Animation) এনিমেশন বাটনে ক্লিক করুন। (Animation) এনিমেশন ফর্মটি ওপেন হলে প্রথমেই ডানে নিচের দিকের (Exact Fit) একজাক্ট এবং (Enable In On-Air) এনাবল ইন অন এয়ার চেক দুটো দিয়ে দিন। উপরের (Select Animation Set) সিলেক্ট এনিমেশন সেট থেকে ০১ সিলেক্ট করুন। এবারে বিজ্ঞাপন লিষ্টের ফাঁকা জায়গায় মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে (Insert Animation…) ইনসার্ট এনিমেশন এ ক্লিক করুন। ওপেন উইন্ডো থেকে আপনার কম্পিউটারে রক্ষিত (SWF) এসডব্লিউএফ ফরমেটের ফ্লাশ এনিমেশন ফাইল ওপেন করুন, যতগুলো আপনার প্রয়োজন। (Save) সেভ বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
এবারে টুলবারের (Animation) এনিমেশনে বাটনের ডান পাশে ড্রপ ডাউন এরোতে ক্লিক করে (Animation Preview) এনিমেশন প্রিভিউ মেনু লিষ্টে ক্লিক করুন। ফুল ব্ল্যাক স্ক্রীণ আসবে। এবার (Animation-01) এনিমেশন ০১ রেডিও বাটনে ক্লিক করুন। (Top, Left, Width, Height) টপ, লেফট, ওয়াইড, হাইট এর প্লাস এবং মাইনাস বাটনগুলোতে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন মতো এনিমেশনটির অবস্থান সেট করে নিন। (Save) সেভ বাটনে ক্লিক করে (Exit) এক্সিট বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ভিডিও স্ক্রীণের এনিমেশন সেটিংস এবার ভিডিও সেট করতে হবে।
টুলবারের সর্ববামে (Schedule) সিডিউল আইকনে ক্লিক করুন। সিডিউল উইন্ডো ওপেন হলে বামে নিচের দিকে (Drive) ড্রাইভ বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারে রক্ষিত ভিডিও ফুটেজের যে কোন একটি ফোল্ডার সিলেক্ট করুন। ডানদিকে ফুটেজগুলো দেখা যাবে। যে ফুটেজগুলো আপনি প্লেব্যাক করতে চান সেগুলোর উপর ডাবলক্লিক করুন। এক সেকেন্ড অপেক্ষা করে ভিডিও ফুটেজগুলো সর্বডানের ফাইনাল এডিটর লিষ্টে এড হতে থাকবে।
এবারে টুলবার থেকে (Broadcast) ব্রডকাষ্ট আইকনে ক্লিক করুন। সর্বোচ্চ এক থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে প্লেব্যাক শুরু হবে। এবার কিবোর্ড থেকে (Alt+C) অল্টার+সি চাপুন। একটি গ্রাফিক্যাল কন্ট্রোলার আসবে যেখান থেকে আপনি আপনার প্লেব্যাককে গ্রাফিক্যাল মোডে কন্ট্রোল করতে পারবেন। প্লেব্যাক বন্ধ করতে চাইলে (Alt+X) অল্টার+এক্স চাপুন। প্রথম স্ক্রীণে চলে আসবে। উল্লেখ্য যে, আপনি এনিমেশন সেট না করেও প্লেব্যাক শুরু করতে পারবেন সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভিডিওই প্রদর্শিত হবে।
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার (System Requirements)
ক্যাবটিভি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরী করা হয়েছে। এটি উইন্ডোজের যে কোন ভার্সণে (৯৫ থেকে ৭) রান করবে। ক্যাবটিভির ইন্টেল পেন্টিয়াম-৪ বা এর উর্ধে যে কোন ক্যাটাগরির কম্পিউটারে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে সক্ষম। তবে এর সাথে বাড়তি যোগ করতে হবে টিভি আউটপুট সহ একটি গ্রাফিক্স কার্ড। যত ভালমানের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যাবে ততই ভাল আউটপুট পাওয়া যাবে। ক্যাবল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন পড়বে একটি মডুলেটরের এবং একটি সংযোগকারী ক্যাবলের যা আমাদের দেশের ইলেক্ট্রনিক্স বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য।

সিডিউল এডিটর (Schedule Editor)

অডিও বা ভিডিও প্লেব্যাক চালানোর জন্য ব্যবহারকারী কর্তৃক অডিও বা ভিডিও নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য সিডিউল এডিটর ব্যবহার করা হয়। এখান থেকে ভিডিও অডিও ফাইল নির্ধারণ ছাড়াও এই ফাইলগুলো কখন প্লে করবে এবং কিভাবে প্লে করবে তার বিস্তারিত অবস্থান সেট করে দেয়া সম্ভব।
SC 01 বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
ব্যবহারকারী প্লেব্যাকের পুর্বেই কোন ফাইলটি কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তা এখান থেকে জেনে প্রয়োজন মাফিক সেট করা সম্ভব। নিচে প্রতিটি অংশের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হলো।

সেভড প্লেলিষ্ট (Saved PlayList)

SC Saved PlayList বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
SC Saved PlayList বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এই অংশে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরীকৃত প্লেলিষ্টগুলো সেভ আকারে থাকে। যে কোন প্লেলিষ্ট এর উপর ডাবল ক্লিক করে প্লে লিষ্টটি লিষ্ট এডিটরে ওপেন করে এডিট করা বা পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব। (Drop Down) ড্রপ ডাউন মেনুতে ক্লিক করা হলে কোন সেভ করা প্লে লিষ্ট ডান দিকের প্লেলিষ্ট এডিটরে ওপেন না হয়ে বামদিকে নতুন একটি উইন্ডোতে ওপেন হবে যেখান থেকে ইচ্ছে মাফিক সেভ করা প্লেলিষ্ট থেকে সিলেক্ট করা ফাইল সমুহ বর্তমান প্লেলিষ্টে এড করা যাবে।রি-ওপেন (Re-Open)করে এর মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্তন করা হলে তা মুল সেভ করা প্লেলিষ্টে কোনরূপ পরিবর্তন করেনা।
এই অংশটি স্ক্রীণের বাম দিকে ছোট আকারে দেয়া থাকে তবে প্রয়োজন বোধে মাঝের বাটনটিতে ক্লিক করে এটিকে বড় আকারে দেখা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য যে কোন সেভ করা প্লেলিষ্টের নামের মধ্যে এটি প্লে করার সময়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যেতে পারে যার প্রথম চার ডিজিট হচ্ছে বছর, এরপর প্রতিটি আন্ডারস্কোরের পরে যথাক্রমে মাস, দিন/তারিখ, ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ড হিসেবে থাকে।

ব্রাউজ ফুটেজ (Browse Footage)

হার্ডডিস্ক বা অন্যকোন মাধ্যম থেকে ফুটেজ খুঁজে বের করার জন্য এই অংশটি ব্যবহার করা হয়। ড্রাইভ বাটনে ক্লিক করে কোন ফোল্ডার থেকে ফাইল সিলেক্ট করতে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া যায়। নিচে যে ড্রপ ডাউন মেনুটি দেখা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে মুলত: ব্যবহারকারী কর্তৃক সেট কৃত কিছু ড্রাইভের সর্টকাট যেখানে (F1)এফ১ থেকে (F12) এফ১২ পর্যন্ত সর্টকাট ব্যবহার করা সম্ভব শুধুমাত্র (F8)
SC Browse Footage বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এফ৮ বাদে। কোন ড্রাইভ সিলেক্ট করা হলে ক্যাবটিভি’র সাপোর্টকৃত ফাইল উক্ত ফোল্ডারে থাকলে তা ডানদিকের ফাইললিষ্ট বক্সে দেখাবে। এখান থেকে ফাইলের উপর ডাবলক্লিক করে তা সিডিউল এডিটরে যোগ করা সম্ভব। অথবা এড অল (Add All)মেনু বা বাটনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রদর্শিত সবগুলো ফাইল সিডিউল এডিটরে যোগ করা যাবে। প্রতিটি ফাইল যোগ করার জন্য এক সেকেন্ড করে সময় প্রয়োজন হবে। ফাইললিষ্ট বক্সের ড্রপ ডাউন থেকে আপনি ইচ্ছে করলে ফাইল লিষ্ট বক্সের ফন্টের নাম ও সাইজ নির্ধারণ করে দিতে পারেন। (Explore) এক্সপ্লোর মেনুতে ক্লিক করে বর্তমানে ব্যবহৃত ফোল্ডারটি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের মাধ্যমে ব্রাউজ করে দেখতে পারবেন। এর নিচে (Assign Shortcut) এসাইন সর্টকাট মেনু থেকে বর্তমানে ব্যবহৃত ফোল্ডার যেটি উপরের পাথ বক্সে দেখানো হচ্ছে সেটিকে আপনার পছন্দ মাফিক ফাংশন কী’তে এসাইন করতে পারবেন যা পরবর্তীতে উক্ত ফাংশন কী’তে শর্টকাটের মাধ্যমে নেভিগেট করা সম্ভব। উল্লেখ্য শর্টকাট ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে ম্যানুয়ালীও এসাইন করতে পারবেন।

প্লে লিষ্ট এডিটর (PlayList Editor)

ব্যবহারকারী কর্তৃক সেট করা অডিও ভিডিও ফাইলগুলোর তালিকা এবং সেই সাথে উক্ত ফাইল গুলোর দুরত্ব (Duration), কখন প্লে শুরু করবে এবং কখন শেষ হবে তার তথ্য পাওয়া যাবে। মুলত: ফাইল বক্সে কোন ফাইলে ডাবল ক্লিক করা হলে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্লেলিষ্ট এডিটরে যোগ হবে, একই সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হবে এর যাবতীয় তথ্যাবলী যেমন ফাইলের দৈর্ঘ্য, শুরু ও শেষ হওয়ার সময়, হার্ডডিস্কের অবস্থা ইত্যাদি। কোন ফাইলের উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে পাওয়া যাবে একটি ড্রপ ডাউন মেনু যার বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো:
  • ইনষ্ট্যান্ট কপি (Instant Copy) বর্তমানে সিলেক্টকৃত সিঙ্গেল ফাইলকে এর ঠিক নিচেই কপি করবে। যার শর্টকাট কী এফ১ (F1)
  • কপি (Copy) উইন্ডোজের কপি কমান্ডের ন্যায় মেমোরীতে বর্তমানে সিলেক্টকৃত সিঙ্গেল ফাইলকে কপি করে রাখবে। শর্টকাট এফ২ (F2)
  • পেষ্ট (Paste) উইন্ডোজের মতই মেমোরীতে কপি করে রাখা ফাইল ও তথ্যকে ব্যবহারকারীর সিলেক্ট করা কোন ফাইলের ঠিক নিচে পেষ্ট করবে। শর্টকাট এফ৩ (F3)
  • ক্লিপ ট্রিমার (Clip Trimmer) এই বিষয়টি নিয়ে একটি অধ্যায় আকারে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে। শর্টকাট এফ৪ (F4)
  • আপ (Up) সিলেক্ট করা ফুটেজকে এক রো উপরে তুলবে। শর্টকাট এফ৫ (F5)
  • ডাউন (Down) সিলেক্ট করা ফুটেজকে এক রো নিচে নামাবে। শর্টকাট এফ৬ (F6)
  • অটোএডিট (Auto Edit) অটো এডিট মুলত আগত প্রোগ্রামের নাম দ্রুত সেট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কমান্ডটি প্রয়োগ করলে ফুটেজের নামের সামনে ডিটেকশন সাইন (সেটিংস দেখুন) না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হবে এবং ফুটেজের নামের বাড়তি এক্সটেনশন অংশ বাদ দিয়ে দেবে। পুনরায় প্রয়োগ করলে ডিটেকশন সাইন বাদ দিয়ে ফুটেজের নাম আসবে। মুলত ডিটেকশন সাইন আগত প্রোগ্রামের নাম প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। শর্টকাট এফ৭ (F7)
  • এডিট (Edit) এডিট এর শর্টকাট কমান্ড হচ্ছে এন্টার (Enter) অথবা নির্দিষ্ট ফুটেজের নামের উপর ডাবলক্লিক। কমান্ডটি প্রয়োগ করলে ফাইলের নামের মধ্যে কার্সর আসবে যেখান থেকে আপনি ফাইলের নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে এই পরিবর্তন আপনার হার্ডডিস্কে রক্ষিত ফাইলের নামের উপর কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া করবেনা। শুধুমাত্র ক্যাবটিভি’র জন্যই এই ফাইলটির নাম নির্ধারিত হবে। আগত প্রোগ্রামের নাম (Upcoming Program Name)
SC PlayList Editor বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রদর্শনের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে সেকেন্ডারী ফন্ট (যেমন সুতন্নি) ব্যবহার করে ফাইলের নামকে অন্য কোন ভাষায় রূপান্তর করতে পারবেন। এবং যে ফাইলগুলোর নাম আগত প্রোগ্রামের নাম হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লেব্যাকের সময় প্রদর্শন করার প্রয়োজন বোধ হবে সেই ফাইলগুলোর নামের পূর্বে ডিটেকশন সাইন (Detection Sign) [সেটিংস দেখুন] দিয়ে এরপর ফাইলের নাম লিখতে হবে। আগত প্রোগ্রমের নাম হিসেবে ডিটেকশন সাইন বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ফাইলের নামই প্লেব্যাকের সময় প্রদর্শন করবে। শর্টকাট এন্টার (Enter)।
  • ডিলেট (Delete) ব্যবহারকারী কর্তৃক সিলেক্টকৃত ফাইলসমুহকে ডিলেট করবে। শর্টকাট ডিলেট কী (Delte)
  • প্লে সিলেক্টেড ফুটেজ (Play Selected Footage) এই কমান্ডটি দিয়ে লিষ্ট এডিটরের ডানে প্রিভিউ বক্সে বর্তমান ফাইলটিকে প্রিভিউ করা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য যে লিষ্টে কোন ফাইলের রং যদি লাল বর্ণের থাকে তাহলে উক্ত ফাইলটি প্রিভিউ হবেনা কারণ উক্ত ফাইলটির বর্তমান অবস্থান ক্যাবটিভি খুঁজে না পাওয়া যেমন ডিলেট বা মুভ হবার কারণে হতে পারে। এছাড়া এখানে কমলা রংয়ের কোন ফাইল থাকলে সেটি ট্রিম করা ফাইল হিসেবে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ফাইলটি যেখানে ট্রিম করা হয়েছে সেখান থেকে প্রিভিউ প্লে শুরু হবে। শর্টকাট এফ৮ (F8)
  • সেট সেকেন্ডারী ফন্ট (Set Secondary Font) লিষ্ট এডিটরের ফাইলের নাম অন্য কোন ফন্টে বা ভাষায় দেখতে চাইলে সেকেন্ডারী ফন্ট সেট করতে হবে। যেমন কোন ফাইলের নাম যদি বাংলায় লিখতে হয় তাহলে সেকেন্ডারী ফন্টকে সুতন্নিতে সেট করা যেতে পারে, এখানে সাইজও সেট করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে লিষ্ট এডিটর সিলেক্ট অবস্থায় কী’বোর্ড থেকে এফ৯ (F9) শর্টকাট দিয়ে
SC Bangla বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
সেকেন্ডারী ফন্টে সু্যইচ করতে পারবেন।
বিশেষ করে আগত প্রোগ্রামের নাম স্বয়ংক্রিয় ভাবে দেখানো জন্য অন্য কোন ভাষা সেট করতে হবে এটিকে ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে।
  • ব্রাউজ ফোল্ডার (Browse Folder) ড্রাইভ বাটনে ক্লিক করার ন্যায়। শর্টকাট এফ১১ (F11)
  • ওপেন লাষ্ট প্লে লিষ্ট (Open Last Playlist) সর্বশেষ ব্যবহারকারী যে প্লেলিষ্টটি সেভ করেছে তা ওপেন হবে। শর্টকাট এফ১২ (F12)
  • কলাম স্পেসিং (Column Spacing) কলাম স্পেসিংএ পাঁচটি মেনু আছে যথাক্রমে ফুটেজ, ডিউরেশন, ষ্টার্ট টাইম, এন্ড টাইম এবং পাথ। এগুলো মুলত: লিষ্ট এডিটরের কলামগুলোর স্পেসিংকে পুন:নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী প্রয়োজনবোধে এই স্পেশগুলো সেট করতে পারবে। কোন স্পেসিং ০ (শুণ্য) সেট করা হলে সেই কলামটি দেখা যাবেনা। এমনিভাবে পাথ কলামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ০ (শূন্য) মানে দেখা যায় না। যা ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে ১০০০ এর উপর কোন ভ্যালু সেট করে লিষ্ট এডিটর পুনরায় চালু করে দেখতে পারবেন। এমনি ভাবে যেকোন কলামের স্পেসিং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • মাল্টি কালার রো (Multi Color Row) এটি সরাসরি ব্যবহৃত কোন বিষয় নয়। এটি সুইচ অন করে রো গুলোকে মাল্টি কালার করা সম্ভব যার দরুন ব্যবহারকারী সহজেই একটি রো থেকে আরেকটি রো এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
  • টাইম ডিটেকশন (Time Detection) টাইম ডিটেকশনএ ক্লিক করলে একটি ইনপুট বক্স আসবে যেখানে (hh.mm.ss) এই ফর্মেটে ইনপুট দিতে হবে। মুলত: ব্যবহারকারীর লিষ্টে কোন ফাইলগুলো কোন নির্দিষ্ট ডিউরেশন এর নীচে আছে সেগুলোকে ডিটেক্ট করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা যেতে। যেমন ০০.০০.১০ সেট করা হলে ১০ সেকেন্ডের নিচের ডিউরেশনের ফাইলগুলোকে নীল রংয়ের দেখাবে। বিশেষ করে কোন লিষ্টে কি পরিমাণ বিজ্ঞাপণ রয়েছে তা দ্রুত বের করার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ ভিডিও বিজ্ঞাপণের ডিউরেশন সাধারণত অন্যান্য প্রোগ্রামের ডিউরেশনের চেয়ে কম হয়। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাইজের বিজ্ঞাপণের ডিউরেশনকে মার্কার হিসেবে সেট করা যেতে পারে।

ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইম (Start Broadcast Time)

প্লেব্যাক কখন শুরু হবে তা এই বক্সটি থেকে নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে খুব সহজেই। যদি প্লেব্যাক রান অবস্থায় থাকে তাহলে বর্তমান প্লেলিষ্টটিকে যে সময়ে চালু হওয়ার জন্য সেট করা হবে ঠিক সেসময়েই চালু হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি দুপুর দুটোর সময় একটি প্লেলিষ্টের প্লেব্যাক শুরু করলেন এবং একই দিনে দুপুর তিনটার সময়ের জন্য আরো একটি প্লেলিষ্ট বানিয়ে সেভ করে রাখলেন,
Broadcast Start Time বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
তাহলে ঠিক দুপুর তিনটায় দুপুর দুটোর প্লেলিষ্টটি বাদ হয়ে তিনটার জন্য নির্ধারিত প্লেলিষ্ট শুরু হবে। এই পদ্ধতিতে ইচ্ছে করলে আপনি কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন নির্দিষ্ট প্রোগ্রামও শুরু করতে পারেন তবে এজন্য একাধিক প্লেলিষ্ট তৈরী করতে হবে। অন্যভাবে আপনি ইচ্ছে করলে একটি লিষ্টের মাধ্যমেও ফুটেজের শুরু হওয়ার টাইম দেখেও নির্দিষ্ট সময়ে কোন প্রোগ্রাম শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করা ভালো কারণ এতে করে নতুন প্লেলিষ্ট তৈরীর ঝামেলা থাকবেনা। প্লেলিষ্ট তৈরীকালীন সময়ে যে সময়টুকু অতিবাহিত হচ্ছে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ্যাডজাষ্ট করে নেয়ার জন্য প্লেলিষ্ট এডিটরের হেডারে ক্লিক করুন, ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইম লেবেলটি নিচের ন্যায় ধারণ করবে। যার দ্বারা এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০ সেকেন্ড পরপর ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইমকে বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে নিবে। পুনরায় হেডারে ক্লিক করলে অটো এ্যাডজাষ্ট অফ হবে।
SC Broadcast Start Time বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
কোন প্লেলিষ্ট সেভ করার পর এটিকে সেভড প্লেলিষ্ট (Saved Playlist) অংশে পাওয়া যাবে যেখান থেকে ডাবল ক্লিক করে পুনরায় এডিট বা ব্যবহার করা যাবে। কোন প্রকার পরিবর্তন করে ষ্টার্ট টাইম চেঞ্জ না করে সেভ করলে আগের প্লেলিষ্ট ওভার রাইট হয়ে যাবে তবে ষ্টার্ট টাইম চেঞ্জ করে দিলে নতুন করে আরেকটি প্লেলিষ্ট সেভ হবে।
ব্যবহারকারী সেভ না করেও সমপ্রচার শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু ফাইল প্লেলিষ্টে এড করে সরাসরি ব্রডকাষ্ট (Broadcast) আইকণে ক্লিক করুন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লেলিষ্টটি বর্তমান সময়ের সাথে তিন সেকেন্ড যোগ করে প্লেব্যাক শুরু হয়ে যাবে। কিছু কিছু সময় ব্যবহারকারী কিছু অপরিচিত প্লেলিষ্ট সেভড প্লেলিষ্ট অংশে দেখতে পারেন যা মুলত ব্রোকেন প্লেব্যাক চালু করলে ক্যাবটিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী করে নেয়। যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে এই প্লেলিষ্টগুলো মুছে দিতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য যে প্লেলিষ্টের ফাইলগুলো যে ফোল্ডার থেকে ক্যাবটিভি রান করছে সেই ফোল্ডারের মধ্যে প্লেলিষ্ট (PlayList) নামে একটি ফোল্ডারের মধ্যে থাকে যাদের এক্সটেনশন হচ্ছে rubel এখানে এক্সটেনশনে শুধু r যদি ছোট হাতের হয় তাহলে সেগুলো ব্যবহারকারী কর্তৃক সেভ করা প্লেলিষ্ট অন্যথায় বড় হাতে শুরু হলে সেগুলো ক্যাবটিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী করেছে এবং RUBEL এক্সটেনশনের হলে সেগুলো ব্রোকেন প্লেলিষ্ট।
লিষ্ট এডিটরের কলামের হেডিংয়ে ক্লিক করলে ব্রডকাষ্ট ষ্টার্টটাইম লেখাটির ব্যাকগ্রাউন্ড লাল রংয়ের ধারণ করবে যার দ্বারা ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইম এবং লিষ্টের মধ্যকার ফাইলগুলোর ষ্টার্ট/ইন্ড টাইম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমান সময়ের সাথে সাথে ২০ সেকেন্ড পর পর আপডেট হবে। লিষ্টের কলামের হেডিংয়ে ক্লিক করে এটিকে আবার বন্ধ করা মানে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইমের নিচে কমলা রংয়ে কিছু তথ্য প্রদর্শিত হতে থাকে যেমন নিচের লাইনটি হতে পারে Total:00.20.17/4 # Loop : 21.19.24 Selected Clip(s) Length : 00.05.48/1  যার অর্থ হচ্ছে প্লেলিষ্টটি ২০ মিনিট ১৭ সেকেন্ড ব্যাপী হয়েছে যেখানে ৪টি ফাইল রয়েছে এবং এটি ২১ টা (২১-১২=৯টা) ১৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে শেষ হবে বা পুনরায় চালু (Loop) হবে। ব্যবহারকারী সিলেক্টকৃত ফাইলগুলোর ডিউরেশন হচ্ছে পাঁচ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড যেখানে একটি ফাইল সিলেক্ট করা আছে। লিষ্ট এডিটরে কন্ট্রোল চেপে মাল্টিপল ফাইল সিলেক্ট করা সম্ভব। লিষ্ট এডিটরের নিচের দিকে কিছু কন্ট্রোল বাটন রয়েছে যেখানে এক্সপোর্ট (Export) একটি গুরুত্বপূর্ণ বাটন। এতে ক্লিক করে বর্তমান প্লে লিষ্টের ফাইলগুলোকে এক্সেল ফর্মেটে আউটপুট দেয়া সম্ভব। আউটপুট দেয়া ফাইলগুলো ক্যাবটিভি’র রান ফোল্ডারে এক্সপোর্ট লিষ্ট (ExportList) নামক একটি ফোল্ডারে ষ্টার্ট টাইম অনুযায়ী পাওয়া যাবে। যেখান থেকে ব্যবহারকারী ইচ্ছে মাফিক প্রিন্ট করে নিতে পারেন। ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইম লেবেল বা লেখাটির উপর ক্লিক করলে লিষ্ট এডিটরটি ফুল স্ক্রীণে দেখাবে যা পুনরায় ক্লিক করলে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

ক্লিপ ট্রিমার (Clip Trimmer)

ক্লিপ ট্রিমার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাধুনিক একটি ফিচার যা ক্যাবটিভিকে বাজারে অন্যান্য সমসাময়িক সফটওয়্যার থেকে আলাদা করে রেখেছে। একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন একটি বাংলা ছায়াছবির একঘন্টার একটি ফাইল আছে এবারে এই বাংলা ছবি চলা অবস্থায় প্রতি দশ মিনিট অন্তর অন্তর কোন নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপণ চালাতে হবে। যদি এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে স্বাভাবিক ভাবে ধরে নিতে হবে যে ছায়াছবির ফাইলটিকে ১০ মিনিট অন্তর অন্তর কেটে নিয়ে এক্সপোর্ট দিয়ে লিষ্টে আনতে হবে। ঠিক সেই কাজটিই ট্রিমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় মাত্র কয়েকটি ক্লিকে এবং মুল ফাইলের কোন প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই এবং কোন প্রকার এক্সপোর্ট বা নতুন ফাইল তৈরী ছাড়াই। কোন ফাইলের উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে (Clip Trimmer…) ক্লিক করুন, ট্রিম উইন্ডো আসবে। এবার টাইমের ঘরে ০০.০০.০০ ফর্মেটে ঘন্টা.মিনিট.সেকেন্ড দিয়ে গো (এড়) বাটনে ক্লিক করুন যাতে প্রিভিউ উইন্ডোর কার্সর আপনার নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে এবার ট্রিম (Trim) বাটনে ক্লিক করে এপ্লাই (Apply) করুন, ওকে (Ok) করুন।
SC Trim বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
ব্যাস আপনার ফাইলটি যেখানে প্রয়োজন ঠিক সেখানেই দুইটি ভাগে ভাগ হবে যা সম্পূর্ণ রিয়েল টাইম। ট্রিম উইন্ডোর নিচে বাম দিকে ষ্টেপ ট্রিম (Step Trim) নামে একটি চেক আছে এখানে চেক দিয়ে টাইম বসিয়ে এন্টার দিতে থাকুন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাধিক গুলো টুকরো তৈরী হবে একই সাইজের যতক্ষণ না ফুটেজের পুরো ডিউরেশন শেষ না হয়। যেমন একঘন্টার একটি ফাইলকে প্রতি দশ মিনিট অন্তুর কাটতে হলে ০০.১০.০০ টাইম বক্সে লিখে এন্টার দিতে থাকুন, প্রতিটি অংশ ঠিক ১০ মিনিট করে তৈরী হবে। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে মাউস দিয়ে অডিও/ভিডিও পজিশন স্লাইডার মুভ করে ট্রিম (Trim) বাটনে ক্লিক করেও ইচ্ছে মাফিক ট্রিম করতে পারবেন। স্লাইডারের নিচে ডান দিকে স্লাইডারের বর্তমান পজিশন সংক্রান্ত কিছু অতিরিক্ত তথ্য থাকবে।

এনিমেশন প্লেলিষ্ট এডিটর (Animation Playlist Editor) :

টুলবারের এনিমেশন (Animation) আইকনে ক্লিক করলে একটি নিম্নরূপ উইন্ডো আসবে যেখান থেকে আপনি প্লেব্যাক অবস্থায় স্ক্রীণে এনিমেটেড ফ্লাশ বিজ্ঞাপণ প্রদর্শণের জন্য যাবতীয় সেটিংস সেট করা এবং ৬ টি আলাদা এনিমেশন সেটের জন্য লিষ্ট তৈরী করে রাখতে পারবেন।
AN 01 বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
যেখানে এনিমেশন সেট পরিবর্তনের সাথে সম্পূর্ণ এডিটরের সেটিংস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেঞ্জ হবে। এছাড়াও কোন সেটটি প্লেব্যাকে একটিভ, এর ফিল মোড কি হবে এবং এটি পপআপ থাকবে কিনা এসমস্ত সেটিংস এখান থেকে সেট করে দেয়া যায়।

সিলেক্ট এনিমেশন সেট (Select Animation Set):

উপরেই বলা হয়েছে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে স্ক্রীণের ৬ টি জায়গায় আলাদা সাইজ এবং পজিশনে আনলিমিটেড ফ্লাশ এনিশেন প্রদর্শন করতে পারবেন। এজন্য ব্যবহাকারী নির্ধারণ করে দিতে হবে যে, কোন চ্যানেলটিতে তিনি বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করবেন।
AN Select Set বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এখানে একটি ড্রপডাউন লিষ্ট পাওয়া যাবে যেখান থেকে ব্যবহারকারী ০১ থেকে ০৬ পর্যন্ত চ্যানেলের যেকোন একটি নির্ধারণ করে পরবর্তী কাজগুলো সমাধা করতে পারবেন।

ব্রাউজ এনিমেশন (Browse Animation):

এই অংশে ব্যবহারকারী ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে হার্ডডিস্কের যে ড্রাইভে এনিমেশন রক্ষিত আছে সেটিকে চিনিয়ে দিলে নীচের ফাইল লিষ্ট বক্সে SWF ফরম্যাটের ফ্লাশ এনিমেশনের তালিকা দেখাবে। তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপণটির উপর ক্লিক করলে নিচের প্রিভিউ বক্সে বিজ্ঞাপণটির প্রিভিউ দেখতে পারবেন। এবং সেই সাথে ডানদিকে নিচে ইনফরমেশন বক্সে এনিমেশন/বিজ্ঞাপণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন।
AN Browse Animation বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এখান থেকে ডাবল ক্লিক করে কোন বিজ্ঞাপণকে লিষ্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, বর্তমানে ব্যবহারকারী যেই সেটটি (০১-০৬) ব্রাউজ করছেন সেই পাথটি ক্যাবটিভি ধারণ করে রাখবে এবং পরবর্তীতে উক্ত সেটটি সিলেক্ট করলে একই লোকেশন/পাথ থেকে আবার ফাইল ব্রাউজ করতে পারবেন।

ইনফরমেশন বক্স (Information Box) :

এই অংশে ব্যবহারকারী ব্রাউজ অংশ অথবা লিষ্ট থেকে কোন বিজ্ঞাপণ সিলেক্ট করলে তার সংক্রান্ত বিবিধ তথ্যাবলী পাবেন। যা যথাক্রমে এনিমেশনটির নাম, এর হার্ডডিস্ক ফাইল সাইজ, ২৫ ফ্রেম রেট (রিকমেন্ডেড)
AN Info বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
হিসেবে এর ডিউরেশন, মোট ফ্রেম সংখ্যা, কখন তৈরী করা হয়েছে এবং এর তৈরী করার সময়, মুল সাইজ ইত্যাদি।

এনিমেশন লিষ্ট এডিটর (Animation List Editor) :

এনিমেশন লিষ্ট এডিটরে কোন ফাইল যোগ করার জন্য ব্রাউজ অংশ থেকে ফাইলের উপর ডাবল ক্লিক করতে হবে। অথবা লিষ্ট এডিটরের ড্রপ ডাউন মেনু্য থেকে ইনসার্ট এনিমেশনে (Insert Animation…) ক্লিক করতে হবে। ডাবলক্লিক করার পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে লিষ্টে এর প্লে সিরিয়াল এবং ডিউরেশন চলে আসবে। সেই সাথে ফাইলটির লোকেশন দেখাবে। এখান থেকে ইচ্ছে করলে কোন ফাইলকে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি করার জন্য কপি করা যেতে পারে এবং লিষ্ট থেকে বাদ দেয়ার জন্য ডিলেট করা যেতে পারে।
ব্যবহারকারী প্রয়োজনমাফিক লিষ্টে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে ফাইলের প্লে সিরিয়াল পুন:নির্ধারণ করে নিতে পারেন। এছাড়া সেট ইউজার রানটাইম (Set User Runtime) নামে একটি ড্রপ ডাউন মেনু্ আছে যেখান থেকে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে কোন ফাইলের মুল দুরত্ব বাদ দিয়ে নিজের পছন্দমাফিক দুরত্ব সেট করে দিতে পারেন। বিশেষ করে ২৫ ফ্রেমের নিচের কোন এনিমেশনকে ইচ্ছে মাফিক চালানো জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। যেমন : ফ্লাশ এনিমেটের ঘড়ি, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো ৫ বা ৬ ফ্রেমের হয় যা ২৫ ফ্রেম রেট হিসেবে এক সেকেন্ডেরও কম বিধায় এধরণের ফাইলকে ব্যবহারকারী ইচ্ছেমাফিক সেট করার জন্য ইউজার রান টাইম ব্যবহার
করা হয়।
AN Animation List Editor বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
গেট সিলেক্টেট লোকেশন (Get Selected Location) এর উপর ক্লিক করলে আপনি যে ফাইলটি সিলেক্ট করে রেখেছেন তার পাথটি ব্রাউজ অংশের জন্য সেট হবে। এক্সপ্লোর (Explore) দ্বারা আপনি সিলেক্ট করা ফাইলটির লোকেশনকে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার দিয়ে ব্রাউজ করতে পারবেন। এক্সাক্ট ফিট (Exact Fit) চেক বক্সটি অন করে ব্যবহারকারী যে সাইজেরই এনিমেশন তৈরী করুন না কেন তা প্লেব্যাক বা প্রিভিউয়ের সময় প্লেয়ার এর সাথে ফিট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এনাবল ইন অন-এয়ার (Enable In On-Air) চেক করে বর্তমান এনিমেশন চ্যানেলটি প্লে ব্যাকের সময় একটিভ থাকবে কিনা তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। লিষ্ট এডিটরের বামে নিচের দিকে কমলা রংয়ে লিষ্ট সংক্রান্ত তথ্য দেখাবে যেখানে মোট এনিমেশন সংখ্যা এবং তাদের মোট রান টাইম দেখাবে। লিষ্ট এডিটরের উপরের দিকে একটি ইনফো বার পাওয়া যাবে যেখানে বর্তমান এনিমেশন সেটের নাম, এর প্লেব্যাক সাইজ, পজিশন এবং প্লেব্যাক স্ক্রীণের রেজুলেশন সংক্রান্ত তথ্য পিক্সেল হিসেবে পাওয়া যাবে।

পপআপ (Popup)

কোন কোন ক্ষেত্রে একটি এনিমেশন সেটকে স্ক্রীণে একটানা না রেখে নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রর্দশনের প্রয়োজন হতে পারে সেক্ষেত্রে পপআপ (Popup) চেকটি অন করে দিয়ে প্রথম ঘরে কত সেকেন্ড স্ক্রীণে প্রদর্শিত থাকবে এবং পরবর্তী ঘরে কত
AN Popup বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
সেকেন্ড স্ক্রীণে অপ্রদর্শিত থাকবে সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে। কোন এনিমেশন সেটকে পপআপ হিসেবে চেক করা হলে এনিমেশন প্রিভিউ এবং প্লেব্যাক কন্ট্রোলারে তা উল্লেখ করা থাকবে। যেমন: নিচের চিত্রে এনিমেশন-০২।
AN Preview বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes

এনিমেশন প্রিভিউ (Animation Preview) :

টুলবারের এনিমেশন আইকনের পাশের ড্রপ ডাউন লিষ্ট হতে এনিমেশন প্রিভিউ (Animation Preview) মেনুতে ক্লিক করলে এনিমেশন প্রিভিউ উইন্ডো স্ক্রীণে প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে প্রতিটি এনিমেশন, আগত প্রোগ্রামের নাম, বিল্ট ইন ঘড়ি, ভিডিওর সাইজ ইত্যাদি আলাদা ভাবে একটিভ করা যাবে এবং এর সাইজ ও পজিশন সেট করা হবে। প্রতিটি অবজেক্টের সাইজ এবং পজিশন সেট করার পর সেভ করে নিতে হবে। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে ডামি ভিডিও (Dummy Video) বাটনে ক্লিক করে একটি ডামি ভিডিও শুধুমাত্র প্রিভিউয়ের জন্য সেট করে নিতে পারেন। সেট স্টেপ (Set Step)
AN PRV বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
থেকে প্রতিটি প্লাস বা মাইনাস কত পিক্সেল করে বাড়বে বা কমবে তা সেট করা সম্ভব। সেট ষ্টেপ (Set Step) লেবেলের উপর ক্লিক করে একবার ১০০ এবং আরেকবার ১০০০ এরপর ১০ সেট করা সম্ভব। বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য বড় মান এবং সুক্ষ্ম পরিবর্তনের জন্য ছোট মান ব্যবহারকারী ইচ্ছে অনুযায়ী সেট করে নিতে পারেন। টপ (Top) বক্সের পাশের টপ লেবেলে ক্লিক করে সিলেক্ট করা অবজেক্টটিকে স্ক্রীণের উপরে, মাঝে ও নিচে সেট করা যাবে ঠিক অনুরূপ ভাবে লেফট, ওয়াইডথ, হাইট কাজ করবে। উপরের ডানে হাইড (Hide) বাটনে ক্লিক করে কন্ট্রোলারটি হাইড/শো করা সম্ভব। প্রতিটি অবজেক্টের পজিশন ও সাইজ ঠিক করার পর সেভ করতে হবে।

ক্লক সেটিংস (Clock Settings)

ক্যাবটিভিতে একটি বিল্ট ইন ডিজিটাল ঘড়ি রয়েছে যদিও এনিমেশন লিষ্ট এ ফ্লাশ দ্বারা তৈরী ঘড়ি ব্যবহার করা সম্ভব হয় কিন্তু উক্ত ফ্লাশ ঘড়ি গুলো কাষ্টমাইজ করা যেমন এর ফন্ট, কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা সেকেন্ড বাদ দেয়া সম্ভব নয়।
AN Clock Settings বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
কিন্তু ক্লক সেটিংস থেকে উক্ত কাজগুলো করা যায় যা প্লেব্যাকের সময় একটি আলাদা অবজেক্ট হিসেবে এর সাইজ এবং পজিশন ব্যবহারকারী এনিমেশন প্রিভিউ  উইন্ডো থেকে সেট করে দিতে পারেন। ক্লক সেটিংস পাওয়ার জন্য এনিমেশন আইকনের ডানের ড্রপ ডাউন মেনু্যতে ক্লিক করে সবচে নিচে দিকে পাওয়া যাবে। ক্লক সেটিংস থেকে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে ঘড়িকে একই সাথে ঘড়ি ও ইমেজড লোগো, শুধু ইমেজড লোগো অথবা শুধুমাত্র ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ঘড়ির বক্সে টাইমের অবস্থান সেট করার জন্য চারটি পজিশনার আছে যা দ্বারা টাইমের অবস্থান সেট করা যায়। উল্লেখ্যযে ঘড়ির প্লেব্যাকে স্ক্রীণের অবস্থান ও সাইজ এনিমেশন প্রিভিউ থেকে সেট করতে হবে।

ব্রডকাষ্ট (Broadcast)

ব্রডকাষ্ট বা সমপ্রচার, যা এই টিউটোরিয়ালে প্লেব্যাক নামে বলা হয়েছে। ব্রডকাষ্ট আইকনে ক্লিক করে সরাসরি সমপ্রচার চালানো সম্ভব [যা দ্রুত চালু করা অংশে বলা হয়েছে] তবে প্লে ব্যাক করার জন্য অবশ্যই সিডিউল এডিটর ওপেন থাকতে হবে এবং লিষ্ট এডিটরে কিছু ভ্যালিড ফুটেজ থাকতে হবে। তাহলেই শুধুমাত্র এই আইকনটি কাজ করবে। ব্রডকাষ্ট আইকনের ডানে ড্রপ ডাউন থেকে ডিলেইড ব্রডকাষ্ট (Delayed Broadcast) নামে একটি মেনু্ পাওয়া যাবে।
Broadcast বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এটি মুলত আপনার তৈরীকৃত প্লেলিষ্ট কোন নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করার জন্য ব্যবহার করা যায় যেমন আপনি যদি অদ্য রাত নটার জন্য একটি প্লেলিষ্ট রান করতে চান তাহলে নয়টার ব্রডকাষ্ট ষ্টার্ট টাইম সেট করে একটি প্লেলিষ্ট সেভ করে রাখতে হবে এরপর ডিলেইড ব্রডকাষ্ট (Delayed Broadcast) বাটনে ক্লিক করলে সাথে সাথে প্লে ব্যাক শুরু না হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত আপনার সেট করা ডিফল্ট সিজিটি (সেটিংসে দেখুন)বারবার দেখাবে। ঠিক রাত নয়টায় আপনার সেভকৃত প্লেলিষ্টটি চালু হবে। এক্সটার্ণাল ব্রডকাষ্ট (External Broadcast) মুলত: ব্যবহৃত হয় ক্যাবটিভি ছাড়া অন্য কোন প্লেয়ার থেকে প্লেব্যাক করার জন্য। এক্সটার্ণাল ব্রডকাষ্ট (External Broadcast) দুটি এনিমেশন চ্যানেল সাপোর্ট করে যার একটি লোগো এবং অন্যটি বিজ্ঞাপণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিস্তারিত বোঝার জন্য সেটিংস অংশটি দেখুন।

ব্রোকেন (Broken)

এই আইকনে ক্লিক করে পুর্বে প্লে করেছে এমন প্লেলিষ্ট যেখান থেকে শেষ হয়েছে ঠিক সেখান থেকে শুরু করা যাবে। বিশেষ করে ভুলবশত: প্লেব্যাক বন্ধ করলে অথবা লোডশেডিংয়ের কারণে প্লেব্যাক বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় সেই অবস্থান থেকে প্লেব্যাক চালু করার জন্য এই আইকনটিতে ক্লিক করতে হবে। এছাড়াও সেটিংস থেকে ষ্টার্টআপের কিছু সেটিংস নির্ধারণ করে ব্যবহারকারী কোন প্রকার সাহায্য ছাড়াই দুঘর্টনা বশত: সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু করার ব্যবস্থা রয়েছে।

রান টাইম কন্ট্রোলার (Runtime Controller)

প্লেব্যাক শুরু হবার পর কীবোর্ড থেকে অল্টার+সি (Alt+C) চাপলে একটি রান টাইম কন্ট্রোলার গ্রাফিক্যাল মুডে দেখা যাবে। এখান থেকে ব্যবহারকারী একটি আদর্শ অডিও ভিডিও প্লেয়ারের ন্যায় যাবতীয় কার্যাবলী সমাধা করতে পারবে। যেমন : পরবর্তী, পুর্ববর্তী, সামনে, পেছনে, ভলিউম কমানো/বাড়ানো, ভিডিও পজিশন চেঞ্জ, নির্দিষ্ট কোন এনিমেশন, ঘড়ি, আগত প্রোগ্রামের নাম প্রদর্শন বা বাতিল ইত্যাদি। এছাড়াও বর্তমান যে প্লে লিষ্টটি চলছে তাতে ফাইলের তালিকা এবং আগত ও বিগত প্লে লিষ্টের তালিকা দেখা যাবে যেখান থেকে ডাবল ক্লিক করে দ্রুত যে কোন ভিডিও পরিবর্তন বা যে কোন প্লে লিষ্ট চালু করা যাবে।
কন্ট্রোলারের ঠিক উপরে বর্তমান চলমান ক্লিপের ষ্ট্যাটাস দেখা যাবে যার প্রথম অংশটি হচ্ছে বর্তমান ক্লিপের ডিউরেশন/কতটুকু প্লে হয়েছে/কতটুকু প্লে হবে বাকী আছে। এর ডান পাশে আছে ট্রিম ষ্ট্যাটাসের কন্ডিশন। সর্বডানে উপরে রয়েছে প্লেব্যাক বন্ধ করার বাটন। ক্লিপ ষ্ট্যাটাসের ঠিক নিচে রয়েছে বর্তমান প্লে লিষ্টের ফাইলের তালিকা এবং আগত ও বিগত প্লে লিষ্টের তালিকা দেখার সুবিধা। এরপর রয়েছে ভলিউম ও প্লে পজ সংক্রান্ত কন্ট্রোলার। এর নিচে রয়েছে স্ক্রীণের কোন নির্দিষ্ট অবজেক্ট যেমন এনিমেশন, ঘড়ি, আপকামিং প্রোগ্রাম নেম, টাইমার শাটডাউন ইত্যাদি এনাবল বা ডিজেবল করার ব্যবস্থা। সবার নীচে রয়েছে ভিডিও পজিশনিং স্লাইডার সহ পরবর্তী, পুর্ববর্তী, সামনে, পেছনে যাবার কন্ট্রোলার বা বাটন। প্লে লিষ্টের ঠিক নিচে রয়েছে কিছু এডভান্সড
ইনফরমেশন।
BR Control New বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
কন্ট্রোলারটিকে হাইড করতে চাইলে অল্টার+সি পুনরায় চাপতে হবে। এই কন্ট্রোলারের যাবতীয় কার্যাবলী কীবোর্ড শর্টকাটের মাধ্যমেও করা সম্ভব এবং এটি শর্টকাটের মাধ্যমেই করা উচিত কেননা রান টাইমে এই কন্ট্রোলারটি অন করলে তা দর্শকদের টিভি স্ক্রীণে দেখা যাবে বিধায় শর্টকাটই সর্বোত্তম পন্থা। শর্টকাট লিষ্ট নিচে দেয়া হলো।
  • কন্ট্রোলার শো/হাইড = অল্টার + সি (Alt + C)
  • প্লেব্যাক বন্ধ = অল্টার + এক্স (Alt + X)
  • সামনে = অল্টার + ডট (Alt + >)
  • পেছনে = অল্টার + কমা (Alt + <)
  • পরবর্তী = অল্টার + শিফট + ডট (Alt + Shift + >)
  • পুর্ববর্তী = অল্টার + শিফট + কমা (Alt + Shift + <)
  • এনিমেশন ০১ শো/হাইড = অল্টার + ১ (Alt + 1)
  • এনিমেশন ০২ শো/হাইড = অল্টার + ২ (Alt + 2)
  • এনিমেশন ০৩ শো/হাইড = অল্টার + ৩ (Alt + 3)
  • এনিমেশন ০৪ শো/হাইড = অল্টার + ৪ (Alt + 4)
  • এনিমেশন ০৫ শো/হাইড = অল্টার + ৫ (Alt + 5)
  • এনিমেশন ০৬ শো/হাইড = অল্টার + ৬ (Alt + 6)
  • ঘড়ি শো/হাইড = অল্টার + কে (Alt + K)
  • আগত প্রোগ্রামের নাম এনাবল/ডিজেবল = অল্টার + ইউ (Alt + U)
  • টাইম শাটডাউন এনাবল/ডিজেবল = অল্টার + টি (Alt + T)
  • চলমান প্লেলিষ্ট ফাইলের তালিকা = অল্টার + ওয়াই (Alt + Y)
  • আগত বা বিগত প্লেলিষ্টের তালিকা = অল্টার + আই (Alt + I)
  • প্লে = অল্টার + পি (পজ অবস্থায় থাকলে প্রযোজ্য) (Alt + P)
  • পজ = অল্টার + এ (প্লে অবস্থায় থাকলে প্রযোজ্য) (Alt + A)
  • ভলিউম বাড়ানো = অল্টার + প্লাস (Alt + +)
  • ভলিউম কমানো = অল্টার + মাইনাস (Alt + -)
  • কোন নির্দিষ্ট সিরিয়ালের ফুটেজ প্লে = অল্টার + জি (Alt + G)
  • মিনি স্লাইডার = অল্টার + এম (কন্ট্রোলার হাইড অবস্থায় প্রযোজ্য) (Alt + M)
  • মিনি ইনফো = অল্টার + এন (কন্ট্রোলার হাইড অবস্থায় প্রযোজ্য) (Alt + N)

গো টু ফুটেজ (Go To Footage):

প্লে ব্যাক চলাকালীন সময়ে কোন নির্দিষ্ট ফুটেজ শর্টকাট মোডে প্লে করতে চাইলে কীবোর্ড থেকে অল্টার+জি (Alt + G) চাপুন। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে যেখানে কতগুলো ফুটেজ আছে তার তথ্য সহ যে সিরিয়ালের ফুটেজটি প্লে অবস্থায় আছে সেটি একটি ইনপুট বক্সে আসবে। আপনি যে সিরিয়ালের ফুটেজটি প্লে করতে চান তার সিরিয়াল উল্লেখ করে এন্টার প্রেস করুন।
Go To বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
নির্দিষ্ট ফুটেজটির প্লেব্যাক শুরু হবে। গ্রাফিক্যাল মোডে কারেন্ট প্লেলিষ্ট (Current Playlist) থেকে কোন ফুটেজের উপর ডাবলক্লিক করেও প্লে করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, বাতিল (Cancel) করতে চাইলে সিরিয়াল পরিবর্তন না করে এন্টার চাপুন। কোনক্রমে স্কেপ (Escape) প্রেস করা যাবেনা তাহলে প্রথম থেকে প্লেব্যাক শুরু হবে।

ষ্টপ ইএক্সটি (Stop Ext.) :

এক্সটার্ণাল ব্রডকাষ্ট বাইরের কোন প্লেয়ার বা ডিভাইস থেকে প্লে হয় বিধায় এ সময় ক্যাবটিভি’র নিজস্ব রান টাইম কন্ট্রোলারটি কাজ করেনা।
ST Stop External Broadcast বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
তখন ব্রডকাষ্ট বন্ধ করার প্রয়োজন হলে এই আইকনটিকে ক্লিক করে ক্যাবটিভি’র বিজ্ঞাপণের/এনিমেশনের প্লে বন্ধ করতে হবে।

সেটিংস (Settings):

সেটিংস আইকনে ক্লিক করলে সেটিংস উইন্ডোটি পাওয়া যাবে যা ক্যাবটিভি’র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেটিংসের কোন অংশ না বুঝে পরিবর্তন না করার জন্য ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা যাচ্ছে নিচে সেটিংসের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Settings বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes

ট্রিম এন্ড ফরম্যাট সেটিংস (Trim & Format Settings) :

এই অংশের প্রথমে রয়েছে ট্রিম সাপোর্ট এনাবল/ডিজেবল করার একটি চেক বক্স। সাধারণত: এটি এনাবল করা থাকে, যদি বিশেষ কোন সমস্যা না হয় তাহলে ট্রিম সাপোর্ট টি অন রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ কোন ক্ষেত্রে যেমন খুবই নিম্নমানের কনফিগারেশনের সিস্টেমে ক্যাবটিভি প্লে ব্যাক করার ক্ষেত্রে দুটি ভিডিওর ট্রানজিশনে প্লেব্যাক একটু থমকে যেতে পারে ট্রিম সাপোর্ট এনাবল থাকার কারণে। সেক্ষেত্রে ট্রিম সাপোর্টটি বন্ধ করা যেতে পারে। তবে লক্ষ রাখতে হবে যাতে ট্রিমড কোন প্লেলিষ্ট ট্রিম সাপোর্ট বন্ধ করা অবস্থায় প্লে না করা হয় সেক্ষেত্রে লিষ্ট এন্ড টাইম ভুল ভাবে মানে বাড়িয়ে হিসেব করা হবে।
ST Trim Format বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes
এর ঠিক নিচেই রয়েছে সাপোর্টেড ফরম্যাট, মানে ক্যাবটিভি কি কি ভিডিও বা অডিও ফরম্যাট সাপোর্ট করে তার সেটিংস। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে নতুন কোন ফরম্যাট এর সাপোর্ট দিতে পারেন সেক্ষেত্রে সাপোর্টেড ফরম্যাট বক্সের শেষে গিয়ে ;*. (কোলন এসট্রিক ডট) দিয়ে কোন ফাঁকা না রেখে ফরম্যাটটি লিখে দিতে হবে। যেমন এবিসি(abc) নামক একটি ফরম্যাটকে সাপোর্ট করাতে হলে লাইনের শেষে লিখতে হবে ;*.abc। তবে নতুন কোন ফরম্যাট তালিকাভুক্ত করার আগে ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে যে উক্ত ফরম্যাটটি আপনার সিস্টেমের উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ঠিকভাবে প্লে করতে পারে কিনা। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে উক্ত ফরম্যাট দেয়া ঠিক নয়। প্রয়োজনবোধে উক্ত ফরম্যাটের জন্য প্রয়োজনীয় কোডেক (যেমন : কে-লাইট) ইনষ্টল করে তারপর চেষ্টা করতে হবে।

শাটডাউন সেটিংস (Shutdown Settings)

কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট কোন সময়ে বন্ধ করতে চাইলে এই সেটিংসটি ব্যবহার করতে হবে। এর প্রথমে রয়েছে একটি চেক বক্স যা শাটডাউন টাইমারকে এনাবল/ডিজেবল করবে। এর ঠিক নীচের তারিখ ও সময়ের বক্সটি হচ্ছে আপনার সিস্টেমের বর্তমান তারিখ ও সময় যা পরিবর্তন যোগ্য নয়। পরবর্তী তারিখ ও সময়ের বক্স থেকে ব্যবহারকারীকে নির্ধারণ করে দিতে হবে যে কখন কম্পিউটার বন্ধ হবে। যদি শাটডাউন এনাবল থাকে এবং বন্ধের সময় পিছিয়ে না যায় তাহলে ডানদিকে বন্ধ হতে আর কত সময় বাকী তা দেখাবে। নিচের দিকে শাটডাউন আফটার ইন্ডিং প্লেলিষ্ট (Shutdown After Ending Playlist) নামে একটি চেক বক্স আছে এটি চেক করা থাকলে শাটডাউনের জন্য টাইমার কাজ করবেনা, বরঞ্চ যখন প্লেলিষ্টের প্লেব্যাক শেষ হবে ঠিক তখনি এর ডান পাশের কম্বোবক্স হতে সিলেক্টকৃত প্রোফাইল অনুযায়ী কম্পিউটারের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট হবে।
ST Shutdown বানাবেন নাকি নিজেই একটা টিভি চ্যানেল? খুবই সহজ! একটি দেশী সফটওয়্যার। | Techtunes

আপকামিং সেটিংস (Upcoming Settings)

প্লেব্যাক চলাকালীন সময়ে আগত প্রোগ্রামে নাম কিভাবে দেখাবে তার সেটিংস এখান থেকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। এর প্রথমেই রয়েছে আগত প্রোগ্রামের নাম এনাবল/ডিজেবল করার চেকবক্স। এর পর তিনটি বাটন থেকে যথাক্রমে আগত প্রোগ্রামের নামের ফন্ট (হতে পারে বাংলা বা অন্য কোন ভাষা যা সিডিউলের সেকেন্ডারী ফন্ট হিসেবে আছে), টেক্সট কালার ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করা সম্ভব। ডানে উপরে রয়েছে টাইম ফ্যাক্টর (Time Factor) এখানে দুটি বক্স রয়েছে যাতে দুটি সেকেন্ড থাকবে। প্রথম সেকেন্ডটি হচ্ছে যে, বর্তমান ফুটেজটির কতসময় বাকী থাকতে পরবর্তী প্রোগ্রামের নাম দেখাবে এবং পরের সেকেন্ডটি হচ্ছে বর্তমান ফুটেজের কতক্ষণ বাকী থাকা পর্যন্ত পরবর্তী প্রোগ্রামের নামটি দেখাবে। এর ঠিক নিচে রয়েছে ডিটেকশন সাইন (উব:বপ:রড়হ ঝরমহ) যাতে ডিফল্ট হিসেবে (*) সাইন দেয়া থাকে। এটিকে বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। মুলত: (*) সাইন দেয়া কোন ফাইলের নাম সিডিউল এডিটরের লিষ্ট এডিটরে থাকলে সেই নামটি পরবর্তী প্রোগ্রামের নাম হিসেবে দেখাবে। সবার নীচে রয়েছে প্রিফিক্স টেক্সট (Prefix Text) যার প্রথমে আছে + (প্লাস) সাইন। এই সাইনটি দেয়া থাকলে পরবর্তী প্রোগ্রামের নামের সাথে প্রোগ্রামটি কটায় শুরু হবে সেটিও প্লেব্যাক এর সময় দেখাবে। সাইনের পরের অংশটুকু আপনি যা লিখে দিবেন প্রোগ্রামের নাম প্রদর্শনের পুর্বে লিখিত এই অংশটুকুকে যোগ করে দেখাবে। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে + (প্লাস) সাইন তুলে দিয়ে আগত প্রোগ্রাম চালু হওয়ার সময় বিষয়টিকে বন্ধ রাখতে পারেন।


এক্সটার্ণাল ব্রডকাষ্ট (External Broadcast)

আগেই বলা হয়েছে ক্যাবটিভি অন্য যেকোন বাইরের প্লেয়ার বা মাধ্যমের প্লে এর সাথে বিজ্ঞাপণ প্লে করতে সক্ষম যেমন হতে পারে কোন সিডি/ডিভিডি/টিভি কার্ড/হার্ড ড্রাইভ/পেন ড্রাইভ/ইন্টারনেট (ইউটিউব) ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে দুটি এনিমেশন চ্যানেল ব্যবহার করা যাবে। যার একটি লোগো এবং একটি বিজ্ঞাপণ হিসেবে কাজ করবে। কোন চ্যানেল গুলো কাজ করবে এবং সেগুলো এনাবল হবে কিনা তা এখান থেকে সেট করে দেয়া যায়।

স্লাইডার সেটিংস (Slider Settings)

রান টাইম কন্ট্রোলারকে শর্টকাটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায় যা আগেই উল্লেখ্য করা হয়েছে। প্রতিটি সামনে পেছনের শর্টকাটে ভিডিও কত সেকেন্ড করে এগিয়ে বা পিছিয়ে যাবে তার সেটিংস এখান থেকে নির্ধারণ করে দেয়া সম্ভব। ডিফল্ট ভ্যালু হিসেবে ১০ সেকেন্ড দেয়া থাকে তবে ব্যবহারকারী তার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ঠিক একই ভাবে ভলিউম প্রতি শর্টকাটে কত ষ্টেপস বাড়বে বা কমবে তা নির্ধারণ করে দেয়া যায়।

ডিফল্ট সিজি (Default CG)

ব্যবহারকারীরা মাত্রই অবগত আছেন যে, প্লেব্যাক শুরু করার কমান্ড দিলে সাথে সাথে প্লেব্যাক শুরু না হয়ে ক্যাবটিভি’র একটি ডিফল্ট ভিডিও বা সিজি (CG) প্রদর্শন করে। এই সিজিটি ইচ্ছে করলে ব্যবহারকারী তার নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায় সেট করে নিতে পারেন যা এমপিজি ফরম্যাটের হতে হবে। এছাড়াও ডিলেইড ব্রডকাষ্টের ক্ষেত্রে উক্ত সিজিটি লুপ (Loop) হয়ে চলবে। ক্যাবটিভি’র লুপ ফাংশনটি অন করার জন্য উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারে কোন ভিডিও চালিয়ে কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল+টি চাপুন। লুপ অফ থাকলে অন হবে অথবা অন থাকলে অফ হবে। কোন ভিডিও বা প্লেলিষ্ট শেষ হয়ে আবার প্রথম থেকে শুরু হওয়াকে লুপ বলা হয়।
সবকিছু সেট করা শেষ হলে সেভ চেঞ্জ (Save Changes) বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।

অটো ষ্টার্টআপ সেটিংস (Auto Startup Settings)

এখানকার প্রথম চেকটি অন করা থাকলে ক্যাবটিভি কম্পিউটার চালুর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করবে। দ্বিতীয় চেকটি অন করা থাকলে ক্যাবটিভির সমপ্রচার চলাকালীন সময়ে কোন কারণে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে চালু করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেখান থেকে সমপ্রচার বন্ধ হয়েছিল ঠিক সেই অবস্থান থেকে শুরু হবে। তবে এই অপশনটি শুধুমাত্র প্রথম চেকটি অন থাকলেই কার্যকরী হবে। তৃতীয় অপশনটি চেক করা থাকলে ক্যাবটিভি যখনই যে কারণেই চালু হোকনা কেন তখনিই পুর্ববর্তী থেমে যাওয়া অবস্থান থেকে সমপ্রচার শুরু করবে।

ব্যাকআপ এন্ড পোর্টেবলিটি (Backup & Portability)

ক্যাবটিভি’র একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এটিকে পোর্টেবল লোকেশন থেকে চালানো যায় যার বিশেষ সুবিধা হচ্ছে কোন কারণে উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে গেলে নতুন উইন্ডোজ দিলেও পোর্টেবল রেখে চালানো হলে এর সকল সেটিংস ফেরত পাওয়া যায়। উল্লেখ থাকে যে ক্যাবটিভি সিস্টেমের রেজিষ্ট্রিতে কোন সেটিংস না রেখে বরং এটিকে একই ফোল্ডারে সেটিংস.আইএনআই (Settings.ini) নামক একটি ফাইলে রাখে। আপনি ইচ্ছে করলে এই ফাইলটিকে ম্যানুয়ালী ব্যাকআপ নিয়ে রাখতে পারেন পরবর্তীতে কোন সেটিংস ভুল হবে বা কোন সমস্যা তৈরী হলে পুনস্থাপনের জন্য। ক্যাবটিভি ইনষ্টল শেষ হলে এর ইনষ্টলেশন ফোল্ডারটিকে কম্পিউটারের অন্যকোন ড্রাইভে বা পোর্টেবল ড্রাইভে কপি করে আনুন। এখান থেকেই ক্যাবটিভি’র একটি শর্টকাট ডেস্কটপে পাঠিয়ে উক্ত শর্টকাটটিকে ব্যবহার করুন। এতে করে আপনি পোর্টেবলিটির সুবিধা পাবেন। ক্যাবটিভি তার সমস্ত প্লেলিষ্ট ক্যাবটিভি’র রান ফোল্ডারের মধ্যে প্লেলিষ্ট (Playlist) নামক একটি ফোল্ডারের মধ্যে সেভ করে। আপনি ইচ্ছে করলে এই ফোল্ডারটিকে বা এর মধ্যকার ফাইলগুলো অন্য কোন জায়গায় ব্যাকআপ নিয়ে রাখতে পারেন। যার পরবর্তীতে প্লেলিষ্ট (Playlist) ফোল্ডারের মধ্যে কপি করে দিলে সিডিউল এডিটরের সেভড প্লেলিষ্ট অংশে আবার পাওয়া যাবে। একই ভাবে এনিলিষ্ট (Anilist) নামের একটি ফোল্ডারের মধ্যে ক্যাবটিভি এনিমেশনের লিষ্ট গুলো সেভ করে রাখে যা পুর্বের নিয়মে ব্যাকআপ নিয়ে রাখতে পারেন। কোন এক্সপোর্ট দেয়া প্লেলিষ্ট এক্সপোর্টলিষ্ট (Exported Playlist) নামক ফোল্ডারের মধ্যে অটোম্যাটিক্যালি রাখে।


লাইসেন্সিং (Licensing):

ক্যাবটিভি হার্ডওয়্যার বেজড লাইসেন্সিং সিস্টেমে তৈরী করা। কোন আনলাইসেন্সড সিস্টেমে ক্যাবটিভি রান করা হলে একটি রেজিষ্ট্রেশন উইন্ডো পাওয়া যাবে যেখানে আপনার হার্ডওয়্যারের আইডি অটোম্যাটিক্যালি তৈরী হবে। উক্ত আইডিটি (rubel.tv@gmail.com) এড্রেসে ই-মেইল করে পাঠিয়ে অথবা ০১১৯৩২১৫১৬৪ নাম্বারে এসএমএস করে পাঠিয়ে দিয়ে মুল্য সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পন্নের পর রিটার্ণ মেইল বা এসএমএস এ আপনি আপনার সিস্টেমের জন্য লাইসেন্স কী পেয়ে যাবেন। উক্ত লাইসেন্সটি কেবল মাত্র একটি পিসিতেই কাজ করবে। নতুন ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে ক্যাবটিভি’র গ্রহণযোগ্যতা, প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহারবিধি পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন রেজিষ্ট্রেশন উইন্ডোর টেষ্ট (Test) বাটনে ক্লিক করে। টেষ্ট ভার্সণের কেবল মাত্র দুটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে এর একটি হচ্ছে প্লেব্যাক চলাকালীন সময়ে টেষ্ট ট্রান্সমিশন (Test Transmission) ষ্টিকারটি স্ক্রীণে উল্লেখ থাকবে এবং একটানা ৩০ মিনিট ক্যাবটিভি চালু থাকবে।

লাইভ সাপোর্ট (Live Support):

ক্যাবটিভি তার গ্রাহকদের লাইভ সাপোর্ট সুবিধা দিয়ে থাকে এজন্য সেটিংস থেকে লাইভ সাপোর্টে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পাসওয়ার্ড ও আইডি সহ একটি উইন্ডো আসবে যা ০১১৯৩২১৫১৬৪ নাম্বারে লাইভ (Live) লিখে স্পেস এরপর আইডি (ID) স্পেস দিয়ে পাসওয়ার্ড (Password) দিয়ে পাঠিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই লাইভ সাপোর্ট শুরু হবে। উল্লেখ্য লাইভ সাপোর্ট শুধুমাত্র লাইসেন্সড গ্রাহকদের বেলায় প্রযোজ্য।

পাসওয়ার্ড (Password):

ক্যাবটিভি ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখতে পারে। ইনষ্টল করার পর ক্যাবটিভি’র কোন পাসওয়ার্ড থাকেনা। এজন্য প্রথম বার পাসওয়ার্ড সেট করার কোন ওল্ড পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হবেনা। তবে পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করার জন্য ওল্ড পাওয়ার্ডের প্রয়োজন হবে। পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করার পর পুনরায় ক্যাবটিভি চালু করলে নতুন সেট করা পাসওয়ার্ডটি একটিভ হবে। পাসওয়ার্ড বাদ দিতে চাইলে ওল্ড পাসওয়ার্ডে বর্তমান সেট করা পাসওয়ার্ড এবং নিউ পাসওয়ার্ড (New Password) ও কনফার্ম পাসওয়ার্ডের (Confirm Password) ঘরে কোন কিছু না দিয়ে চেঞ্জ (Change) বাটনে ক্লিক করতে হবে। উল্লেখ্য যে ক্যাবটিভি’র পাসওয়ার্ড ব্যাকআপ করা সম্ভব নয়। পাসওয়ার্ড এনাবল থাকলে ষ্টার্টআপ অপশনগুলো কাজ করবেনা বিধায় ষ্টার্টআপের সুবিধা পেতে চাইলে পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন বন্ধ রাখতে হবে।

অন্যান্য সহকারী প্রোগ্রাম সমুহ (Others Third Party Applications)

ক্যাবটিভিকে পুরিপূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করার জন্য কিছু বাড়তি সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় যা ব্যবহারকারীর চাহিদার উপর নির্ভর করে। ব্যবহারকারীদের জন্য নিচের সফটওয়্যারগুলো রিকমেন্ড করা হলো।
  • সুইসম্যাক্স (SWiSH Max) : ফ্লাশ এনিমেডেট বিজ্ঞাপণ খুব সহজে তৈরী করার জন্য।
  • এনালগ এক্স এক্সটেশন চেঞ্জার (Analog-X Extension Changer) : ফাইলের এক্সটেনশন পরিবর্তন করার জন্য।
  • কে-লাইট কোডেক মেগা (K-Lite Codec Mega) : পরিপূর্ণ মাত্রায় ফাইল ফরম্যাট সাপোর্টের জন্য।
  • ফ্লাশ প্লেয়ার (Flash Player) : ফ্লাশ এনিমেশন রান করার জন্য।
এই সফটওয়্যারগুলো ক্যাবটিভি চালাতে সরাসরি প্রয়োজন হয়না, শুধুমাত্র সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুইসম্যাক্সের পরিবর্তে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে অন্য যে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যেমন ফ্লাস, ক্যাবটিভি সরাসরি কিছু ফরমেট সাপোর্ট করেনা যেমন ড্যাট, ভব (Dat, Vob) ইত্যাদি। ড্যাট এর ক্ষেত্রে ক্যাবটিভিতে একটি বিল্টইন এক্সটেনশন চেঞ্জার দেয়া আছে। কোন ড্যাট (Dat) ফাইলকে আপনি লিষ্ট এডিটরে যোগ করতে চাইলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এমপিজি (mpg) ফরম্যাটে পরিবর্তন হয়ে লিষ্ট এডিটরে যোগ হবে। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে তার কম্পিউটারের উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারকে ১১ ভার্সণে আপগ্রেড করে নিতে পারেন এতে করে প্লেব্যাক পুর্বের চেয়ে স্মুথ হবে।
ক্যাবটিভির ফুল ইনষ্টলেশন করা হলে ইনষ্টলড ফোল্ডারে টুলস নামে একটি ফোল্ডার পাওয়া যাবে যেখানে প্রয়োজনীয় এই সব থার্ডপার্টি সফটওয়্যারগুলোর সেটাপ ফাইল পাওয়া যাবে।


বাগ এবং রান টাইম এরর রিপোর্টিং (Bug & Run Time Error Reporting)

ক্যাবটিভি ব্যবহারকারীরা যদি কোন প্রকার বাগ বা সমস্যা অথবা অনাকাংখিত ভাবে সফটওয়্যার বন্ধ হয়ে (Run Time Error) গেলে (bug.cabtv@gmail.com) এই ই-মেইলে বিবরণ সহ পাঠিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা গেল। এছাড়া ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে লাইভ সাপোর্টও পেতে পারেন। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হবে। সর্বোচ্চ ৫ টি সঠিক বাগ রিপোর্টিংয়ের জন্য লাইসেন্সড বা আনলাইসেন্সড উভয় ব্যবহারকারীকেই একটি নতুন লাইসেন্স ফ্রি দেওয়া হবে।

কি আসছে ভার্সণ ২০১৩ তে?

ক্যাবটিভি’র পরবর্তী ভার্সণ রিলিজ করা হবে ১৫ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখে। এই ভার্সণে সংযুক্ত হবে পপআপ বিজ্ঞাপন ট্রানজিশন এন্ড স্পিড, লাইভ ভিডিও ইনপুট, ইন্টারনেট টিভি/রেডিও/ষ্ট্রিমিং ব্রডকাষ্ট সহ আরো অনেক নতুন নতুন ফিচার সমূহ।

স্বত্ব (Copyright):

ক্যাবটিভি ২০১১ এর স্বর্বস্বত্ব কামরুল ইসলাম রুবেল কর্তৃক সংরক্ষিত। এর কোন প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা অনুকরণ সংক্রান্ত বিষয়াদি প্রচলিত কপিরাইট আইনের আওতাভুক্ত।

Saturday 7 May 2011

তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য)

আপনি যদি একজন ক্যাবল টিভি অপারেটর হন তাহলে অবশ্যই আপনার কন্ট্রলরুম থেকে ভি, সি, ডি প্লোয়ারের মাধ্যমে আলাদা একটি ভিডিও চ্যানেল প্রচার করেন। এখন আমরা দেখবো কিভাবে কম্পিউটার এর মাধ্যমে আপনার এই ভিডিও চ্যানেলটি কে আর সুন্দর করে সম্প্রচার করতে পারেন। পাশাপাশি কিভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করার নিয়ম । তো চলুন দেখেনেই একটি অটোমোডেড ভিডিও চ্যানেল কিভাবে প্রচার করবেন আপনার ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে। যে সব উপকরণ লাগাবে
হার্ডওয়্যার-
  • কম্পিউটার যার থাকবে সর্বনিন্ন Dual Core processor, 1G RAM, 250 GB HDD.
  • AGP card with TV output দুই ধরনের AGP কার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারেন-
Agp1 তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
AGP card with DVI & S-Video output.
এই ধরনের কার্ড ব্যবহার করলে আপনাকে একটি S-Video to AV converter ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে কারণ ডিশ লাইনের মডুল্যাটর গুলো সরাসরি S-Video input নেয় না। S-Video to
AV converter ক্যাবল দেখতে এমন হতে পারে। তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
ক্যাবলের হলুদ জ্যাকটি আপনার মডুল্যাটরের Video input এ লাগাবেন।
Agp2 তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
AGP card  with AV output. এ ধরনের কার্ড থেকে আপনি সরাসরি মডুল্যাটরের জন্য ভিডিও আউটপুট পাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে AV ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে। AV ক্যাবল দেখতে এরকম হতেপারে।
av1 তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunesav2 তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
ক্যাবলের হলুদ জ্যাকটি আপনার মডুল্যাটরের Video input এ লাগাবেন।
এছাড়া বাজারে VGA to AV/S-Vodeo converter পাওয়া যার যা আপনি কম্পিউটার থেকে মডুল্যাটরে ভিডিও Input এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি দেখতে এমন হতেপারে
vga2av তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
VGA Converter
  • Sound card আপনি চাইলে মাদারবোর্ডে সাথে বিল্টইন Sound card -ই ব্যবহার করতেপারেন বা আলাদা লাগিয়ে নিতে পারেন। কম্পিউটার থেকে মডুল্যাটরে সাউন্ড নিতে আপনি Audio to AV ক্যাবল ব্যবহার করবেন। যা দেখতে এরকম হতেপারে
 তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
Audio to AV cable
  • মডুল্যাটর - আপনার ডিস কন্ট্রলরুমে যে মডুল্যাটর রয়েছে সেটিই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে স ফিল্টার সহ মডুল্যাটর হলে ভালো ভিডিও কোয়ালিটি পাবেন।
modu তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
Cable TV Modulator
সফট্‌ওয়্যার-
  • আপারেটিং সিস্টেম - Windows XP or Windows7
  • A/V Broadcast System for Cable TV এইটিই আপনার চ্যানেলের জন্য মূল ব্রডকাস্ট সফট্‌ওয়্যার। যার সাহায্যে আপনার চ্যানেলের সম্প্রচার নিমন্ত্রণ হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে। সফট্‌ওয়্যারটির ডোম আপনারা www.skytouch-software.com থেকে ডাইনলোড করতে পারবেন।
Avhome তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes
Screenshot of A/V Broadcast System for Cable TV

Screenshot of A/V Broadcast System for Cable TV
  • আনান্য সফট্‌ওয়্যার KLight codec pack, Flash player 10, Windows Media player 11, WinDVD player ইত্যাদি।
A/V Broadcast System for Cable TV সফট্‌ওয়্যারটি নিয়ে টিউটিরিয়াল পরবর্তিতে প্রকাশ করা হবে
Click here to download A/V Broadcast System for Cable TV

softpedia download big তৈরি করুন নিজের ভিডিও চ্যানেল (ক্যাবল টিভি অপারেটরদের জন্য) | Techtunes